বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল বিধানসভায় এক বিচিত্র সৌজন্যতার সাক্ষী থেকেছিলো গোটা বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে তাঁর কক্ষে প্রবেশ করে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই ফের একবার আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেন শুভেন্দু। সৌজন্যতা ভুলে মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) বিধায়ক। শুভেন্দুর দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাবো।” পাল্টা দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
উল্লেখ্য, গতকাল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘সৌজন্যতা’ দেখে হতচকিত হয়ে পড়ে গোটা বাংলা। তবে এর মাঝে এদিন ফের একবার যেন বিরোধী দলনেতার রূপেই ধরা পড়লেন শুভেন্দু।
ঠাকুরনগরে পৌঁছে বিজেপি নেতা বলেন, “সৌজন্যের রাজনীতি যেমন জানি, আবার বিরোধিতাও জানা রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে উনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলেছিলেন যে, বিরোধী দলনেতা নাকি বাংলার টাকা আটকানোর জন্য চিঠি দিয়ে চলেছেন। গতকাল সেই কথা গিলেছেন।স্নেহের ভাইও বলেন উনি। আসলে বিরোধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।” পরবর্তীতে শুভেন্দু আরো বলেন, “নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে ওনাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাবো। এখান থেকে বলে দিয়ে গেলাম।”
যদিও বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “লোডশেডিং করে ভোটে জয়লাভ করেছেন। ও আর জিততে পারবে না। তাও আমরা ওকে ‘গেট ওয়েল সুন’ বলি। কারণ, আমরা চাই শুভেন্দু ভালো থাকুন। তাছাড়া ও রাজনীতিতে স্থান পেতো না, যদি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতেন। তারপরও এসব কথা বলে চলেছে।”
প্রসঙ্গত, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে বিধানসভায় তাঁর কক্ষে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে ঘটনাটিকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করার পাশাপাশি উক্ত সাক্ষাৎকে ‘সৌজন্যমূলক’ বলেই দাবি করেন দুজনে। তবে এর মাঝেই ফের একবার বিরোধিতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন শুভেন্দু।