বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌরিতে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নাকি আগেভাগেই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিমদের বাঁচাতে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইপ্যাকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ৮টি সীমান্ত জেলার প্রায় ৭৫ হাজার মুসলিমকে ৬ নম্বর ফর্ম বিলি করা হয়েছে। শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ৩১ জুলাই থেকে যে কোনও নতুন ডোমিসাইল সার্টিফিকেট যেন গ্রহণ না করা হয়— এই মর্মে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দেবেন। রাজ্যের আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “ডোমিসাইল সংক্রান্ত কাজ করলে পাঠান কালীর মতো দুঃখ ভোগ করতে হবে।”
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিএলও নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, স্থায়ী কর্মীরা থাকা সত্ত্বেও তাঁদের ওই পদে নিয়োগ করা হচ্ছে না, যা অনিয়ম। বিহারে এসআইআর হওয়ার উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখানে অনেক বিএলও ও আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এমনকি গ্রেফতারও।
এর জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) কটাক্ষ করে বলেন, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বারবার গ্যারান্টির কথা বলেন, কিন্তু তাঁর নিজের রাজনৈতিক অবস্থানই গ্যারান্টি-শূন্য। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সব ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বিজেপি বাংলায় হেরেছে। এখন কমিশনকে ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে চাইছে বিজেপি, যার তীব্র বিরোধিতা হবে।
কুণাল আরও বলেন, যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন এবং ভারতীয় নাগরিক, তারা বাঙালি এবং তাদের কোনওভাবে হেনস্তা করা যাবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধুমাত্র বাংলা সীমান্ত নিয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) উদ্বেগ কেন? ত্রিপুরা বা অন্যান্য রাজ্যের সীমান্ত নিয়েও কথা বলা উচিত, যেখানে বিজেপির সরকার আছে।
আরও পড়ুনঃ খিচুড়িতে ‘শুঁয়োপোকা’! ‘মিড ডে মিল’ বিতর্কে তোলপাড় মালদহ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র
অনুষ্ঠানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার পাশাপাশি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানান, যাঁরা ভারতে থেকে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাঁদের জন্য কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানান তিনি। এমনকি কড়া ভাষায় বলেন, “পাকিস্তানে জল বন্ধের প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নামে, অথচ শহিদের জন্য কিছু করে না, তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া উচিত।”