বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুল শিবিরে নাম লেখান শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করার মাধ্যমে রাজনীতিতে ক্রমশই নিজের জায়গা আরো উল্লেখযোগ্য হারে উত্থান ঘটান তিনি। বর্তমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক আক্রমণের তীরে বিদ্ধ করে চলেন শাসক দলকে। ‘কয়লা ভাইপো’ থেকে শুরু করে ‘মাননীয়া’ সম্বোধনে একাধিক বিতর্কে নাম জড়ায় তাঁর।
গতকাল মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় উপস্থিত হন শুভেন্দুবাবু। কাঁথির ভবতারিণী মন্দির থেকে কাঁথি-মেচেদা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে গতকালের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সহ অন্যান্য একাধিক বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। পরবর্তীকালে মঞ্চে উঠেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ করেন তিনি।
প্রথমেই শাসকদলের দুর্নীতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বর্তমানে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৃষ্ট প্রকল্প গুলির নাম বদলে নিজের নামে চালাচ্ছেন। এর ফলে মানুষকে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। তবে আমি বলতে চাই যে, বর্তমানে স্টিকার লাগিয়ে সব কাজ করা হলেও ভবিষ্যতে তা আর করা যাবে না। বাংলায় দুর্নীতি আমরা সহ্য করবো না।”
বর্তমানে শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে শাসক দল। এদিন সেই প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে 269 জন চাকরি হারিয়েছে। পরবর্তীকালে সেই সংখ্যা আরো বাড়বে। আমি বলে রাখছি, ভবিষ্যতে 10 থেকে 15 হাজার চাকরি যাবে মানুষের। সবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এই তালিকা আরও বাড়বে।”
তিনি আরো বলেন, “অতীতে সিপিএম কিংবা কংগ্রেস কোন দলই এত পরিমাণ ভোট লুঠ করেনি, যতটা বর্তমান শাসকদল করে চলেছে। কাঁথি পৌরসভা নির্বাচনে বহু পরিমাণে ভোট লুঠ করে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি, ঠিক তেমনভাবে শাসকদলের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জন্মাতে শুরু করেছে।”
এছাড়াও এদিন বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি একের পর এক ভাষণ রাখেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একযোগে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে থাকবেন, সঙ্গে কয়লা ভাইপোর জেল হেফাজত হতে চলেছে। বর্তমানে বেশ কিছুটা দেরি হয়েছে, তবে তাদের শাস্তি কেউ আটকাতে পারবে না।”