বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খড়গপুর ২ নং ব্লকের চাঙ্গুয়াল পঞ্চায়েত অফিসে গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেত্রী পঞ্চায়েত প্রধান দীপালি সিংহ ও সদস্য সুজাতা দে’র মধ্যে তীব্র হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের কিছু কাজ নিয়ে শুরু হওয়া বিবাদ রূপ নিয়েছে শারীরিক সংঘর্ষে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
কিভাবে হয় ঘটনার সূত্রপাত?
সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত হয় পঞ্চায়েত অফিসে উপস্থিত সুজাতা দে পঞ্চায়েত প্রধান দীপালি সিংহের উপর হামলা চালান। তাঁকে জুতো দিয়ে আঘাত করার চেষ্টার পাশাপাশি মুখে কালি মাখানোর অভিযোগও করা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান দীপালি সিংহ জানিয়েছেন, “আমাদেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য এসেছিলেন গার্ডওয়ালের কাজের দাবি নিয়ে। আগেভাগেই উনি কালি নিয়ে এসেছিলেন আমার গায়ে ছিটানোর জন্য। আমি ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিই, সেই সময় একটু ধাক্কাধাক্কি হয়।”
অন্যদিকে, সুজাতা দে অভিযোগ করেছেন, “পঞ্চায়েত প্রধানই আমার মাথায় মাটির টব দিয়ে আঘাত করেছেন। তারপর মুখে ও জামায় কালি মাখিয়ে দেন। আমি অফিসে তালা দিয়ে লোকজনকে ডাকি। আমরা সকলে তৃণমূলের কর্মী, কিন্তু তাঁর এই আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।” এই ঘটনার খবর পেয়ে খড়গপুর ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও দীপঙ্কর রায় এবং খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ অফিসে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে নাগরাকাটা হামলার প্রসঙ্গ তুলেছেন। নাগরাকাটায় তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মুর ওপর তৃণমূলের হামলার ভিডিও প্রকাশিত হয়। শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেছেন, “তৃণমূল শুধুমাত্র আদিবাসী মুলবাসী সাংসদ খগেন মুর্মুকে রক্তাক্ত করে ক্ষান্ত নয়, নিজের দলের তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের এক মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকেও হেনস্থা করতে ছাড়ছে না। যারা মা মাটি মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে, আজ তাদের হাতেই বাংলার মাতৃশক্তি লাঞ্ছিত, অপমানিত।”

আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার থেকে শুরু বাজির বাজার, কোন কোন বাজি বিক্রি হবে? জানাল প্রশাসন
উল্লেখ্য, নাগরাকাটা হামলার সময় বিজেপি নেতারা উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণের জন্য যাচ্ছিলেন। সেই সময় একদল বিজেপি নেতাদের উপর হামলা চালায়। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ বিজেপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেছে, তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে শঙ্কর ঘোষ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, তবে খগেন মুর্মু এখনও চিকিৎসাধীন। জানা গেছে, তাঁর চোখের নিচের হাড় ভেঙে গেছে এবং প্রয়োজন হলে অস্ত্রোপচারও হতে পারে।













