চোর, তোষণবাজদের কোনও মানুষই গ্রহণ করবে না! ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভরাডুবিতে কটাক্ষ শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরায় ভরাডুবি তৃণমূল কংগ্রেসের। চারটি উপনির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে হাজারের গণ্ডিও পার করতে পারেনি তারা। প্রতিটি কেন্দ্রে জয় তো দূরের কথা, চতুর্থ স্থানে ঠাঁই হয়েছে দলের আর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের এই পরাজয় প্রসঙ্গে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। “চোর, তোষণবাজ এবং পরিবারের পার্টিকে কেউ কোথাও গ্রহণ করবে না”, ঠিক এই ভাষাতেই এদিন রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শানান শুভেন্দুবাবু।

উল্লেখ্য, এদিন ত্রিপুরায় চারটি উপ নির্বাচন কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। চারটির মধ্যে তিনটিতেই জয়লাভ করে বিজেপি। তবে অনেক আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ভরাডুবি হয় তৃণমূল কংগ্রেসের আর এই প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম। চতুর্থ হওয়ার পাশাপাশি জামানত জব্দ হয়েছে তোলামূলের। আসলে বাংলায় এরা ছাপ্পা ভোট করে বলেই এখনো পর্যন্ত টিকে রয়েছে। নাহলে এই চোর, তোষণবাজ এবং পরিবারের পার্টিকে কোন রাজ্যে গ্রহণ করবে না মানুষ।”

প্রসঙ্গত, টাউন বড়দোয়ালি, আগরতলা এবং সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীরা এক হাজার ভোটের অনেক আগেই থেমে গিয়েছেন। কেবলমাত্র যুবরাজনগর কেন্দ্র থেকেই 1073 টি ভোট পেয়ে দলের মুখ কিছুটা রক্ষা করেছেন মৃণালকান্তি দেব। উল্লেখ্য, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য পান মরতে 986 টি ভোট। এই কেন্দ্রে জয়লাভ করেন ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। অপরদিকে, আগরতলা এবং সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মান্না দেব এবং অর্জুন নমঃশূদ্রের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 842 এবং 469। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা ত্রিপুরাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি বলেই মতপ্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

jpg 20220626 130203 0000

এই প্রসঙ্গে এদিন নন্দীগ্রামে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করেন রাজ্যের শাসকদলকে। অপরদিকে, বাংলায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল শিবির। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে যাওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে চলেছে তৃণমূল। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যেখানেই যাক না কেন, কিচ্ছু করতে পারবে না তৃণমূল।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর