দিতে পারেনি স্কুল ফি, পড়ুয়াকে ঘাড় ধাক্কা দিয়েছিল স্কুল! মসীহা হলেন শুভেন্দু, খুশির জোয়ার পরিবারে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : শিক্ষা যদিও আমাদের মৌলিক অধিকার তবুও ফি দিতে না পারার কারণে পড়ুয়া হেনস্থার কথা আজকের নতুন নয়। আর এবার ফি (School Fee)  দিতে না পারার কারণে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো বাংলারই এক স্কুলে। তবে খবর পাওয়া মাত্রই সেই অসহায় ছাত্রের পাশে দাঁড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

সূত্রের খবর, ফি দিতে না পারায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল এক ছাত্রকে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই নিজ উদ্যোগে তারকেশ্বরের (Tarakeswar) স্কুল ছাত্রের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হল এক বছরের ফি। আর উদ্যোগ নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার এই পদক্ষেপে বেজায় খুশি অনুরাগীরাও। সেই সাথে খুশির হাওয়া ঐ ছাত্রের বাড়িতেও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তারকেশ্বর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের শরৎ পল্লী এলাকায় ঐ ছাত্রের বাস। চতুর্থ শ্রেণীর ঐ খুদে স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। স্কুলের ফি জমা না দেওয়ার কারণে তাকে নাকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাকে পরীক্ষায় বসতেও দেওয়া হচ্ছিলনা বলে খবর। যদিও শেষমেশ তারকেশ্বর পৌর চেয়ারম্যান উত্তম কুন্ডুর হস্তক্ষেপে পরীক্ষা দিতে সক্ষম হয় সে।

আরও পড়ুন : মোদী-শাহের মাস্টারস্ট্রোক! গদি গেল শিবরাজের, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে মোহন যাদব

খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিকভাবেই খবর পৌঁছে যায় শুভেন্দুর বাড়িতে। তিনি তড়িঘড়ি এক প্রতিনিধি দল পাঠান ঐ ছাত্রের বাড়িতে। এক বছরের স্কুল ফি তুলে দেওয়া হয় ঐ দুঃস্থ ছাত্রের পরিবারের হাতে। ছাত্রের মা বলেন, ‘খুবই ভাল লাগছে। ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। ওনার এই উদ্যোগে আমরা উপকৃত হয়েছি। আগামীতে ছেলেকে কেন্দ্রীয় স্কুলে পড়াতে চাই।’

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর