বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্য জুড়ে আলুচাষিদের আত্মহত্যা বাড়ছে বলে বিধানসভায় অভিযোগ করছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাল্টা রাজ্য সরকারের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিই কৃষকদের আত্মহত্যার জন্য দায়ী। এরপর গতকাল ফের এক আলুচাষির মৃত্যু হয়। আর তারপরই রাজ্য সরকারকে নিশানা করে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
নিজের টুইটার হ্যাণ্ডল থেকে মৃত আলুচাষির ছবি শেয়ার করে নন্দীগ্রামের সাংসদ লেখেন, দ্বিতীয় আলুচাষি আত্মহত্যা করলেন। আগে চন্দ্রকোনার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আর তারপর গোয়ালতোড়ের বাপ্পা দাস। অর্থনৈতিক চাপ সামলাতে না পেরে নিজেকেই শেষ করে দিচ্ছেন চাষিরা।’
গত সোমবার বিধানসভার কৃষকদের অধিকারের দাবিতে বিধানসভার ভিতরে এবং পরে বিধানসভার বাইরেও বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দুর নেতৃত্বাধীন বিজেপির বিধায়কেরা। সেই বিক্ষোভে শুভেন্দু-সহ বিজেপির সমস্ত বিধায়কই হাজির হন হাতে আলু এবং গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে। শাসককে ধিক্কার জানিয়ে বিজেপি বিধায়করা বলেন, ‘এই সরকার শুধু চোর ডাকাতদের হাত মজবুত করতে জানে, কৃষকদের স্বার্থের কথা বললেই মুখে কুলুপ দেয়।’
Second Potato farmer of Paschim Medinipur district dies by suicide.
A week after the death of Rabindranath Chakraborty of Chandrakona; Bappa Das of Goaltore committed suicide today unable to handle the stress of the financial losses & debt due to poor crop yield and low prices. pic.twitter.com/REZpWF73mZ— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) March 17, 2023
সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ পর্বে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু হঠাৎই সেখানে প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য জুড়ে আলুচাষিদের মৃত্যু হচ্ছে, তাঁরা আত্মহত্যা করছেন, এ ব্যাপারে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? শুভেন্দুর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রশ্নের জবাব আগেই দেওয়া হয়েছে, তবু আবার বলছি, সার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির জন্যই সারের দাম বাড়ছে। ফলে আলুচাষিদের উপর চাপ বাড়ছে। তার জন্যই এমন ঘটনা ঘটছে।’
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী এ কথাও বলেন যে, এই ধরনের ঘটনা দেশে ইদানীং বাড়লেও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যে অনেক কম। এই নিয়ে দু’পক্ষের বাগ বিতণ্ডার পরই মুলতবি হয়ে যায় বিধানসভা। তবে শুভেন্দুরা বিধানসভার বাইরে বেরিয়েও একই বিষয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিধানসভার বাইরে এসে শুভেন্দুর নেতৃত্বে হাতে আলু নিয়ে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিজেপি বিধায়করা বলতে থাকেন, ‘আলুচাষিরা ন্যায্য দাম পাচ্ছে না বলেই তাঁরা আত্মহত্যা করছেন। অথচ রাজ্য সরকারের মুখে এরপরও কুলুপ।’