বিধানসভায় নিরাপত্তা নিয়মে ব্যতিক্রম মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষোভে ফুঁসছেন শুভেন্দু, আদালতের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি

Published on:

Published on:

Suvendu Adhikari warns legal move over Bengal Assembly security rules

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নিরাপত্তা বিধি নিয়ে নয়া নির্দেশ জারি হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘোষণা হতেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

“নিয়ম সবার জন্য সমান হওয়া উচিত”, দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া নিয়ম অনুযায়ী বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কোনও মন্ত্রী বা বিধায়ক নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশের নোটিস জারি হয়েছে বিধানসভায়। তবে এই নির্দেশের বিরোধিতা করে শুভেন্দু দাবি জানিয়েছেন যে, “আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নিয়ম সবার জন্য সমান হওয়া উচিত”।

এই সিদ্ধান্তকে ‘পক্ষপাতমূলক’ বলে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, আদালতের রায় সকলের জন্য সমান, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলাদা নিয়ম কেন? তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যদি নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঢোকেন, আমি আদালতের দ্বারস্থ হব। প্রয়োজনে স্পিকারের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার মামলা করব।”

গত বছর বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাদের ঘটনায় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তা ঘিরে বড় প্রশ্ন উঠেছিল। বিজেপি বিধায়কেরা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিধানসভায় ঢুকতে দেওয়া হয় না। কিন্তু তৃণমূলের বিধায়কেরা নির্বিঘ্নে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ভিতরে ঢোকেন। সেই ঘটনার রেশ টেনেই শুভেন্দুর নতুন দাবি যে, মুখ্যমন্ত্রীকেও নিয়ম মানতে হবে।

Suvendu Adhikari warns legal move over Bengal Assembly security rules

আরও পড়ুনঃ শ্রমিকদের বাঁচাতে খুলে গেল ‘শ্রমশ্রী পোর্টাল’, বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী

বিধানসভায় নিরাপত্তা বিধি নিয়ে এই বিতর্কে ফের গরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের অভিযোগ ‘সবার জন্য এক নিয়ম থাকা দরকার’। এই প্রেক্ষিতে এখন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি সত্যিই আদালতের দরজা পর্যন্ত গড়ায় কি না, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।