বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার কলকাতা (Kolkata) শহর জুড়ে মাত্রাতিরিক্ত হারে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির অভিযোগ সামনে এনে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেছেন যে কোথাও দ্বিগুণ কোথাও আবার তিনগুণ পর্যন্ত ট্যারিফে বিদ্যুতের মাশুলের সিলিং বদলে ফেলে বিল বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভোট চলাকালীন কলকাতায় বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এমতাবস্থায়, বুধবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে CESC-র একগুচ্ছ বিল দেখিয়ে রীতিমতো গর্জে ওঠেন। সেখানে তিনি জানান, “ভোট চলাকালীন অত্যন্ত চুপিসারে বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতায়। রাজ্য সরকারের রেগুলেটরি বোর্ডের অনুমোদন নিয়েই এই কাজ করা হয়েছে। CESC একচেটিয়া ব্যবসা করে। ভোট চলাকালীন তারা কোথাও দ্বিগুণ আবার কোথাও তিন গুণও ট্যারিফে সিলিং বদলে বিল বাড়িয়ে দিয়েছে।”
এমন পরিস্থিতিতে, এই বাড়তি বিল রাজ্য সরকারের রেগুলেটরি বডি যাতে অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয় সেই দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, এর জন্য তিনি ডেডলাইন হিসেবে এক সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। শুভেন্দু জানিয়েছেন, এই ট্যারিফ পরিবর্তন করায় সরাসরি সমস্যার মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কলকাতা-সহ CESC-র আওতাধীন এলাকায় অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী সপ্তাহেই CESC-র অফিসে যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! আচমকাই নিচে পড়ল আপার বার্থ, ঘাড় ভেঙে মৃত্যু হল বৃদ্ধের
সেখানে ৩ জন বিজেপি কাউন্সিলর সহ কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণের সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল CESC -র কাছে উপস্থিত হয়ে নিজেদের দাবি জানাবেন। তারপরে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। দাবি পূরণ না হলে বিজেপির তরফে CESC অফিস অভিযান চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে, বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী বন্ডের ইস্যুতে CESC ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে এবার উঠবে ঝড়! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম T20 ম্যাচ খেলবেন ভারতের এই দুর্ধর্ষ খেলোয়াড়
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানান যে, “CESC হল একটি বাণিজ্যিক সংস্থা। তাই, তাদের টাকা তুলতেই হবে। হলদিয়া এনার্জির নাম করে তৃণমূলের ফান্ডে তারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। তাই, যে সংস্থা তৃণমূলকে ৪০০ কোটি টাকা চাঁদা দেয়, তাকে তো ৮০০ কোটি টাকা জনগণের থেকেই তুলতেই হবে। এটাই ধ্রুব সত্য।”