বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবারই সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। ১৪৪ ধারার নিয়ম মেনে মাত্র তিন জন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, যেখানে আগেই আদালত ১৪৪ ধারা বাতিল করেছে সেখানে তারপরও পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে তার পথ আটকেছে। তবে তৃণমূল নেতাদের সেখানে অবাধে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত না থাকায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু যাতে কোনও ভাবেই সন্দেশখালি যেতে না পারেন তার জন্য সকাল থেকেই পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ায় মত।সন্দেশখালি যাওয়ার পথে জায়গায় জায়গায় শুভেন্দুর পথ আটকায় পুলিশ।
দুপুরে দলের তিন বিধায়ককে নিয়ে সন্দেশখালি রওনা হওয়ার পরেই সায়েন্স সিটির কাছে শুভেন্দুর গাড়ি আটকানো হয়। পুলিশের সাথে তর্কাতর্কির পর তারা সেইসময় ছেড়ে দিলেও ফের রামপুরে শুভেন্দুদের আটকানো হয়। রামপুরে শুভেন্দুদের বাস আটকে দেয় পুলিশ। এরপর সেখানেই নেমে পথে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়ক।
রাস্তায় বসে ধর্না শুরু করেন শুভেন্দুরা। পুলিশের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা হলেও বিরোধী দলনেতাকে সন্দেশখালি যেতে দেওয়া হয়নি। প্রায় দু’ঘণ্টা পর রামপুর থেকেই ফের কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তারা। যদিও শুভেন্দু আগেই জানান, ৫টা পর্যন্ত ধর্না দিয়ে তারপর ফিরে যাবেন। পাশাপাশি খুব স্পষ্ট ভাবেই বিরোধী দলনেতা বলেন, তিনি কোনও গন্ডগোল করতে চান না। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেও এগিয়ে যেতে চান না। তবে এই নিয়ে যে তিনি আদালতে যাবেন তাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় জামিন, কে পেলেন শর্তসাপেক্ষ মুক্তি?
পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন খুব শীঘ্রই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “আদালতের নির্দেশ নিয়েই আমি সন্দেশখালিতে ঢুকব। আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী। আমি নন্দীগ্রাম, জঙ্গলমহলে আন্দোলন করে আসা লোক। সন্দেশখালিতে আমি ঢুকবই।” এরপরই শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।