বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের পর রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে ভীষণরকম সরব তারা। তা সে ভোট-পরবর্তী হিংসাই হোক কিম্বা নারোদা মামলা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কাছে নালিশ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন তিনি। কিন্তু আগামী দিনে কি হতে চলেছে বিজেপির আন্দোলনের রূপরেখা? এই নিয়ে ডাকা প্রথম বৈঠকেই এদিন অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচির রূপরেখা নির্ণয়ের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। দলের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক শিবপ্রকাশ, কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্য থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের ৫ সাধারণ সম্পাদক সহ সকলেই উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অনেকের মতে এই বৈঠকের জন্য আহ্বানই জানানো হয়নি শুভেন্দুকে। ফলত আরামবাগের খানাকুল এবং ঘাটালের দাসপুরে দলেরই অন্য কর্মসূচিতে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকে অনুপস্থিত শুভেন্দু? কিছুদিন আগেই সামনে এসেছে দলের অন্দরে প্রাচীন নবীনের দ্বন্দ্বের কথা। তাহলে কি দলের ভেতরেও শুভেন্দুর উত্থান মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই? বিজেপি কর্মীদের মত অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর মতে, ‘‘এ রকম কোনও বিষয় নেই। সব বৈঠকে সবাইকে ডাকা হয় না। সাংগঠনিক পদাধিকারীদের বৈঠক এবং পরিষদীয় বা সংসদীয় দলের বৈঠক আলাদাই হয়। কাল বা পরশু কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর।’’
জানা গিয়েছে এই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। যার মধ্যে উঠে এসেছে একুশের নির্বাচনে বিজেপির আশাভঙ্গের কথাও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এক নেতা এদিন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন। তার মতে নির্বাচনের হারের সব চেয়ে বড় কারন এই দলবদলই। জানা গিয়েছে প্রতিটি আসন ধরে ধরে হারের কারণ বিশ্লেষণের দাবি তোলা হয়েছে এই বৈঠকে। এছাড়া ভোট পরবর্তী হিংসা টিকাকরণের দুর্নীতি নিয়েও এই রাজ্যে একাধিক সমাবেশ করতে চলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর অনুযায়ী ২৩ জুন থেকে ২৫ জুন অবধি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলবে এই সমাবেশ। এছাড়া ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস পালনের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।