“নন্দীগ্রামে আমার কাছে হেরেছে বলে আমন্ত্রণ জানায় নি!” প্রজাতন্ত্র দিবসে ডাক না পেয়ে তোপ শুভেন্দুর

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতি বছরের মত এই বছরও মহা সমারোহে রেড রোডে পালিত হয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবস। তবে, রেড রোডের প্যারেডেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। আজকের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গেলেও আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আর ওই কারণেই সূত্রপাত হয়েছে বিতর্কের। এই প্রথমবার রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন না বিরোধী দলনেতা। তবে, করোনা কালে অনুষ্ঠানের উপস্থিতিতে অনেক কাটছাঁটও করা হয়। কোভিড বিধির জেরে আজকের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সর্বোচ্চ ৬০ জন।

তবে, আজকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, এর মধ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধিও খুঁজে পেয়েছেন তিনি। শুভেন্দু স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, “আমার কাছে মমতা ব্যানার্জী নন্দীগ্রামে হেরেছে, তাই আজ প্রজাতন্ত্র দিবসে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ এর আগের বছরও আব্দুল মান্নানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে ওঠে। বিধানসভায় আম্বেদকরের ছবিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে ধনকড় রাজ্যের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেন। এছাড়াও, অধ্যক্ষকেও কটাক্ষ করেন তিনি।

যদিও, তারপরেই স্পিকার জানান যে, আম্বেদকরের স্মৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বিধানসভার সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল, এটা অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক আচরণ। এর পরেও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁদের পাশাপাশি দেখা গেলেও অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু।

এদিকে, এই অনুষ্ঠানের জন্য রেড রোডে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কলকাতা পুলিশ। রেড রোডকে মোট ১১ টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজন ডেপুটি কমিশনার। এছাড়াও, রেড রোডে থাকছে ৫ টি ওয়াচ টাওয়ার। নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X