বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে সরকার গঠন প্রক্রিয়া। অন্যদিকে নির্বাচনে আশানুরূপ ফলাফল না করতে পারলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে নন্দীগ্রামের দখল নিতে সক্ষম হয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কে হবেন তা নিয়ে যথেষ্ট দোলাচল তৈরি হয়েছিল গেরুয়া শিবিরে। একদিকে দৌড়ে ছিলেন কৃষ্ণনগরের জয়ী প্রার্থী তথা বর্ষিয়ান দলনেতা মুকুল রায় অন্যদিকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ঘরে হারানো শুভেন্দু।
অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটাল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা আসনে বেছে নেওয়া হলো প্রবল সবুজ ঝড়েও তৃণমূল সুপ্রিমোকে পরাস্ত করা শুভেন্দু অধিকারীকে। বেশ কিছুদিনের সাসপেন্সের পর অবশেষে বিজেপি তরফে ঘোষিত হল শুভেন্দু অধিকারীর নাম। সোমবার হেস্টিংসের বিজেপির অফিসে বৈঠকে যোগদান বিধায়করা। সেই বৈঠক থেকেই রাজ্যের আগামী বিরোধী দলনেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় শুভেন্দুকে। শুভেন্দু মুকুল ছাড়াও দৌড়ে ছিলেন মনোজ টিগগার মত পরিচিত রাজনীতিবিদরাও। তবে শুভেন্দুর থেকে মনোজের অভিজ্ঞতা অনেকটাই কম। আর সেই কারণেই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যান নন্দীগ্রামের বর্তমান বিধায়ক।
অন্যদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিরোধী দলনেতা হতে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করেননি মুকুল রায়। তাই আজকের বৈঠকে প্রত্যাশা মতো শুভেন্দু কেই বেছে নিল গেরুয়া শিবির। হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে সবচেয়ে বড় জয় যে পেছনে শুভেন্দুই এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কঠিন প্রতিপক্ষ তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়েকশো ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে হারানো মোটেই সহজ কাজ ছিল না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যথেষ্ট উৎকণ্ঠার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল শুভেন্দুর এই জয়ে নিয়েও। এএনআই তরফে প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ১২০০ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে জানা যায় সেই খবর ছিল ভুল। এরপর কয়েকশো ভোটের ব্যবধানে শুভেন্দুকে নন্দীগ্রামের জয়ী প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ব্যবধান বড় না হলেও তৃণমূলের বিপুল জয়ের সামনে এ ছিল এক বড় আঘাত। এই জয়ের পর থেকেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে আরো বেশি করে প্রকাশ্যে আসে শুভেন্দুর নাম। এবার সেই প্রত্যাশা মেনেই তাকে বিরোধী দলনেতা ঘোষণা করে যথোপযুক্ত সম্মান জানালো বিজেপি।