বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন কয়েক আগে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আজ বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। সর্বশেষে তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যতাও ছেড়ে দিলেন। শুভেন্দু যেভাবে তৃণমূল ছেড়েছিলেন, ঠিক একই ভাবে তিনিও তৃণমূল ছাড়লেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তৃণমূলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন রাজীব।
রাজীববাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো পদত্যাগপত্রে লেখেন, তৃণমূলের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। অনেক সময় দিয়েছি দলকে। আর আমাকেই এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখে কিছু না বললেও এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
শুধু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ই না, আজ হাওড়ার যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অনপুম ঘোষ। হাওড়ায় একের পর এক নেতার ইস্তফায় জেরবার শাসক দল তৃণমূল। এর আগে লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছে। হাওড়ার বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে তাড়িয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীও বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাছে সবথেকে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হাওড়া জেলা। আরেকদিকে, বিজেপির এক নেতা বলেছেন, তৃণমূল থেকে প্রতি ঘণ্টায় একজন করে নেতা পদত্যাগ করবে। দেখুন কি হয়।
তৃণমূল ছাড়াও আগে থেকেই বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাথে রীতিমত যোগাযোগ ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি চন্দননগর থেকে শুভেন্দু অধিকারী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপিতে আসার জন্য আহ্বান করার পরের দিনই রাজীববাবু মন্ত্রীত্ব ছাড়েন। জানা যাচ্ছে যে, আজ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর সাথে কথা হয়েছে রাজীববাবুর। আর আজই দুজনে মিটিংয়ে বসতে চলেছেন।