বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজস্ব ভঙ্গিতে তুলোধোনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলকে। নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট শেয়ার করে দাবি করলেন ‘তৃণমূল মানেই চোর!’ তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতা-মন্ত্রী বিধায়কদের চাকরির সুপারিশপত্র সামনে আনেন তিনি। এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই পোস্টকে ঘিরে সরগরম হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতি।
কী শেয়ার করেন শুভেন্দু? নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিনে টুইটে ৬ টি ছবি শেয়ার করেন। প্রত্যেকটি ছবির উপরে লেখা রয়েছে ‘তোলামুল সার্ভিস কমিশন’। প্রত্যেকটি ছবি তৃণমূলের এক এক জন নেতা মন্ত্রীর নাম উল্লেখ রয়েছে। এরই সঙ্গে ওই ব্যক্তি যে চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করেছেন তাঁদের নামও রয়েছে।
প্রথম ছবিটিতে নাম রয়েছে অসিম কুমার মাঝি। তিনি বলাগড় বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। দ্বিতীয় ছবিতে নাম রয়েছে অখিল গিরির। অখিল বর্তমানে কারাগার মন্ত্রী ও রামনগর বিধান সভার তৃণমূল বিধায়ক। তৃতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিশীথ কুমার মালিকের নাম। নিশীথ উত্তর বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক।
চতুর্থ ছবিতে রয়েছে বীজপুর বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শ্রী শুভ্রাংশু রায়ের নাম। ৫ম ছবি আবার নাম রয়েছে একজন সাংসদের। তিনি আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এবং সর্বশেষ ছবিতে নাম রয়েছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের।
এই ছবিগুলি শেয়ার করে শুভেন্দু লেখেন, ‘তৃণমূল মানেই চোর! বহুবার সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলেছি, এক-দুই নয় প্রায় শতাধিক তোলামুল কোম্পানির বিধায়কদের সুপারিশে কোথাও নিজেদের আত্মিয়স্বজন চাকরি পেয়েছে আবার কোথাও মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে। আবার মহামান্য আদালতের নির্দেশের ফলে মুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক তোলামুল নেতার ভাই, ছেলে, মেয়ে, ভাগ্নি কিংবা স্বামীর চাকরি গেছে। তা জনসমক্ষে আগেই এসেছে।’
এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, ‘ঠিক যেমন মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে নিয়োগ দুর্নীতিতে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ভূমিকা এখন আতস কাঁচের নিচে, ঠিক একই ভাবে এই সব তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক কিংবা প্রাক্তন বিধায়কদেরও তদন্তের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করি। আজ এটুকুই থাক, ক্রমশঃ প্রকাশ্য!’