বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খবর কাগজের পরিবর্তে দিঘায় আসা পর্যটকদের অ্যাসিড ফ্রি কাগজে ঘটিগরম খাইয়ে রাতারাতি নজরে এসেছিলেন ঘটি গরম কাকু স্বরাজ ভট্টাচার্য (Swaraj Bhattacharya)। একডাকেই তাকে চেনেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর ‘প্রিয়’ বিক্রেতাও বলা যেতে পারে। বর্তমানে তিনি বাদাম চাটও বিক্রি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় (Digha) যাবেন শুনেই দিদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হাজির সমুদ্রপাড়ে। তবে রাতভর সেখানে অপেক্ষা করেও দেখা মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর। তাই বেজায় মন খারাপ তার।
প্রসঙ্গত, প্রতিবার মুখ্যমন্ত্রী দীঘায় এলেই খোঁজ পড়ে এই ঘটি গরম কাকুর। তার হাতে বানানো ঘটি গরমের সুস্বাদু ঝুরিভাজা বেশ মজায় উপভোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একসময় স্বরাজবাবুর বানানো ঝুরিভাজা খেতে খেতে বাদাম তার জীবনের কঠিন অবস্থার কথা শুনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানতে পেরেছিলেন একজন এমএ পাস করেও কাজের অভাবে কিভাবে নিজের দিন যাপন করছেন স্বরাজবাবু।
এরপরই গতবার মুখ্যমন্ত্রী ঘটি গরম কাকুর জন্য জেলা প্রশাসনকে একটি জমি ও তার উপর বসবাসের ঘর করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু জানা যায়, জেলা প্রশাসন তরফে এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনো ব্যবস্থাই তাকে করে দেওয়া হয়নি। তার এবার তিনি ফের একবার দিদির সঙ্গে দেখা করে নিজের সমস্যার কথা জানাবেন বলে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু এবারে কাকুর আর মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা হয়নি।
জানা গিয়েছে ছোট্ট একটি ভাড়া বাড়িতে স্বরাজ বাবু বহু কষ্ঠে দিন যাপন করেন। তার দুঃখ-কষ্টের কথা শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনকে পাট্টা জায়গা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রশাসনের তরফে রামনগরে একটি জায়গা দেওয়া হলেও তা ব্যবহার যোগ্য না হওয়ায় তা ফিরিয়ে দেন তিনি। সেই জমির পরিবর্তে ঘটি গরম কাকুকে দিঘায় একটি স্টল দেওয়ার কথা ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত সেটি পাননি বলেই অভিযোগ তার। এই নিয়েই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে হতাশ স্বরাজবাবুর দাবি, ‘সুগার বাড়ায় চিকিৎসক বেশি হাঁটতে বারণ করেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যে জায়গা আমায় দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গা ফেরত দিয়ে দিঘায় একটা স্টল দেওয়ার আবেদন করেছিলাম। বারবার ঘুরেও মেলেনি কোন সদুত্তর। তাই একবার দিদির সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলাম। দিনভর অপেক্ষা করেছিলাম। দিদিকে যদি আমার হাতের তৈরি নতুন রেসিপি বাদাম চাট খাওয়াতে পারি। ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এখনও হয়ে উঠলো না।’