বাংলাহান্ট ডেস্ক: আজ মাদার্স ডে (Mothers Day)। জগতের সবথেকে বড় শক্তিকে পুজো করার দিন। অবশ্য মা দের কুর্নিশ জানানোর জন্য আলাদা করে একটা দিনের কি সত্যিই দরকার পড়ে? এ নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। ন মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করার পরেও সন্তানকে বড় করে তোলার দায়িত্ব যেচে নিজের কাঁধে নেয় মা। বাবার মতোই তাই মা দের দায়িত্বও অনেক।
কিন্তু মাদার্স ডে বা ফাদার্স ডে তো শুধুই মা বা বাবাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য নয়। যারা একই সঙ্গে দিনের পর দিন বাবা এবং মায়ের দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করে চলেছেন, সেই সিঙ্গল বাবা মা দের জন্যও আজকের এই বিশেষ দিন। আর তাদের উদ্দেশেই মাতৃ দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)।
তিনি নিজেও একজন সিঙ্গল মাদার। মেয়ে অন্বেষাকে ছোট থেকে একাই বড় করে তুলেছেন। ঘরে, বাইরে দুদিকে সমান ভাবে সামলাচ্ছেন স্বস্তিকা। চলার পথে কাঁটা কম আসেনি। মেয়েকে সুন্দর করে বড় করে তোলার জন্য সমাজের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হয়েছে। আজ মেয়ে অন্বেষাই স্বস্তিকার সবথেকে বড় বন্ধু।
মা হওয়ার পর মেয়েদের শরীরে যে সমস্ত বদল আসে তা নিয়ে বরাবরই খোলাখুলি ভাবে কথা বলেছেন স্বস্তিকা। নিজের শরীরটা যেমন, তেমন ভাবেই তাকে আপন করে নেওয়া উচিত। বরাবর এমনি বার্তা দিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী। এর জন্য ট্রোল হতে হলেও পালটা জবাব দিয়েছেন।
মাদার্স ডে তে দুটি ছবি শেয়ার করেছেন স্বস্তিকা। সন্তান জন্মের পর মা দের শরীরে অনেক স্ট্রেচ মার্কস দেখা যায়। সমাজের চোখে এগুলো নারী দেহের ‘খুঁত’। স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘আমার শরীরের মধ্যে আমি সন্তানকে বহন করেছি। আমি শরীর নিখুঁত নয়, দাগে ভরা। কিন্তু যখনি আমি আয়নায় নিজেকে দেখি, একজন মাকে দেখতে পাই। এর থেকে বড় সম্মান বা আশীর্বাদ আর কিছুই হতে পারে না। সেই সমস্ত বাবা মা দের জানাই মাদার্স ডের শুভেচ্ছা, যারা একসঙ্গে দুটো দায়িত্ব পালন করছেন। আপনারা অসাধারণ! আমাদের জন্য উল্লাস!’
https://twitter.com/swastika24/status/1523193601919913985?t=35B5T6L1GfRx1NPskBY2AQ&s=19
বেশ কয়েক বছর আগে একটি টেলিভিশন শো তে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন তাঁর সিঙ্গল মাদার হয়ে ওঠার সফরের কথা। সে সময়ে এই শব্দ দুটো তেমন প্রচলিত ছিল না। কলকাতার একাধিক নামী স্কুলে মেয়েকে ভর্তি করাতে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল স্বস্তিকাকে। কারণ, বাবার অনুপস্থিতি। কিন্তু হাল ছাড়েননি অভিনেত্রী। একাই বড় করে তুলেছেন মেয়েকে।