বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বস্তিকা মুখার্জিকে (swastika mukherjee) টলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ বললে খুব একটা ভুল সম্ভবত বলা হয় না। ‘ঠোঁটকাটা’ বলে বেশ দুর্নামই রয়েছে তাঁর। তাঁকে নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন নিজের মনমর্জি মতো চলতেই পছন্দ করেন স্বস্তিকা। তাতে ট্রোল, সমালোচনা হোক। সেসবে বিশেষ পাত্তা দেন না স্বস্তিকা।
বলিউড (bollywood) এখন তোলপাড় মাদক (drugs) চক্র নিয়ে। হেভিওয়েট মাদকাসক্ত তারকাদের খোঁজে গভীরে ডুব দেওয়ার তোড়জোড় করছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। পাশাপাশি সুশান্ত ও কঙ্গনার প্রসঙ্গ তো রয়েছেই। বলিউডের উত্তেজনার আঁচ এসে লাগছে টলিউডের গায়েও।
উপরন্তু কিছুদিন আগেই রিয়া চক্রবর্তীকে জড়িয়ে বাঙালি মেয়েদের তুলোধনা করার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছিল একদল নেটিজেন। বিষয়টাকে শেষ পর্যন্ত অবশ্য ঘুরিয়ে পালটা ট্রোল করেছিল বাঙালি কন্যেরা। এবার তেমনই এক মজার টুইটের উত্তরে নিজের বক্তব্য রাখলেন স্বস্তিকা।
একটি টুইটে লেখা হয়, ‘বাংলাতে মাল মানে মদ্য পানীয়। আমার এবার বাঙালিদের জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে।’ টুইটের উত্তরে স্বস্তিকা লেখেন, ‘হাহা, আমরা সবাই জেলে যাব। আর আমরা বাঙালিরা তো সবই খাই। মাল থেকে মাছ, সিগারেট থেকে জল। আমরা সব খাই।’
Hahah. We are all going to jail. And we bengalis EAT everything, from maal to machh to cigs to water. Amra shob khai. https://t.co/uimrXxe5ie
— Swastika Mukherjee (@swastika24) September 25, 2020
উল্লেখ্য, একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আসে NCBর হাতে যেখানে D ও K এর মধ্যে মাদক সংক্রান্ত কথাবার্তা হতে দেখা গিয়েছে। জানা যায়, D হলেন দীপিকা পাডুকোন ও K হলেন তাঁর ট্যালেন্ট ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশ। করিশ্মাকে দীপিকা জিজ্ঞাসা করেন, “মাল হ্যায় কেয়া?” এখানে মাল।বলতে মাদক বোঝানো হয়েছে। সেই সূত্রেই টুইটে মাল ‘কথাটি’ ব্যবহার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ NCBর দফতরে পৌঁছান দীপিকা পাডুকোন। জানা গিয়েছে, দু ঘন্টা আলাদা বসিয়ে তাঁকে জেরা চালান পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম। জেরার মুখে পড়ে অভিনেত্রী স্বীকার করেন ম্যানেজার করিশ্মার সঙ্গে মাদক সংক্রান্ত চ্যাট তিনি করেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপে। এমনকি ওই গ্রুপের অ্যাডমিন হওয়ার কথাও স্বীকার করেন দীপিকা।
তবে মাদক নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন বলে খবর সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। ম্যানেজার করিশ্মাও জানিয়েছেন, তিনি নিজে ধূমপান করেন। কিন্তু মাদক সেবন করেন না। দীপিকা খুবই স্বাস্থ্য সচেতন। কোনোদিনই তিনি মাদক সেবন করেননি।