বাংলাহান্ট ডেস্ক: শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং রুবেল দাস। বাংলা টেলিভিশনের এই মুহূর্তের সবথেকে জনপ্রিয় এবং চর্চিত জুটি। ‘যমুনা ঢাকি’র যমুনা এবং সঙ্গীত কখন যে অনস্ক্রিন জুটি থেকে অফস্ক্রিন কাপল হয়ে গেলেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি অনুরাগীরা। টের পেতেই দেননি রুবেল শ্বেতা।
তবে বেশিদিন লুকিয়েও রাখতে পারেননি সম্পর্কটা। শ্বেতার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রুবেলকে দেখেই দুয়ে দুয়ে চার করতে শুরু করেছিলেন নেটিজেনরা। পরে আর লুকোছাপা না করে সুখবরটা ফাঁস করেই দিয়েছিলেন রুবেল শ্বেতা।
যমুনা ঢাকির পর শ্বেতা পা রেখেছিলেন বড়পর্দায়। দেবের বিপরীতে ‘প্রজাপতি’ ছবির শুটিং করেই আবারো ছোটপর্দায় ফিরেছেন তিনি। আজ সোমবার থেকেই জি বাংলায় শুরু হচ্ছে তাঁর নতুন সিরিয়াল ‘সোহাগ জল’। কাজের দিক থেকেও কপোত কপোতীর মধ্যে বেশ মিল। সপ্তাহ দুয়েক আগে শুরু হয়েছে রুবেলের নতুন সিরিয়াল ‘নিম ফুলের মধু’। তার ঠিক পরেই টিআরপির লড়াইয়ে নামছেন শ্বেতা।
রবিবার দিদি নাম্বার ওয়ানের সানডে ধামাকা পর্বে নিজের নতুন সিরিয়ালের টিম নিয়ে এসেছিলেন শ্বেতা। অনস্ক্রিন স্বামী হানি বাফনা পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও অফস্ক্রিন প্রেমিকের ব্যাপারেই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় শ্বেতাকে। সরাসরি রুবেলের নাম না করে নিজস্ব স্টাইলে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন ছোঁড়েন রচনা। আর তাতেই কাবু শ্বেতা।
সিরিয়ালে শ্বেতার চরিত্র জুঁই ঘরোয়া মেয়ে। সংসারের সকলকে নিয়ে ভাল ভাবে থাকাতেই তার আনন্দ। বাস্তবে শ্বেতার বিয়ের পরিকল্পনা কী? লজ্জা লজ্জা হাসিতে অভিনেত্রী উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ, আমিও বিয়ে করতে চাই’। এরপরেই অবলীলায় বোমা ফেলেন রচনা। সরাসরি শ্বেতাকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠেন, ‘শোনো তোমাকে যদি কেউ বলে থাকে, জীবনটা ‘নিম ফুলের মধু’, সবসময় কিন্তু সেটা নয়।’
এটার অপেক্ষাতেই ছিলেন সকলে। রচনার ইঙ্গিত বুঝে নিমেষে লাজে রাঙা শ্বেতা। অন্যরাও হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে তাড়াতাড়ি শ্বেতা বলে ওঠেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ ‘নিম ফুলের মধু’ জি বাংলার আরেকটা সিরিয়াল। রাত আটটায় হয়। সবাই অবশ্যই দেখবেন।