বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে মুদ্রাস্ফীতি আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে যেমন ক্রমাগত জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে কমছে ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের সুদ। এই অবস্থায় আমাদের সকলের উচিত ভবিষ্যতের জন্য সুনিশ্চিতা আর্থিক পরিকল্পনা করা।
শুধু বিনিয়োগ করলেই হবে না, সময়ের সাথে সেই টাকা কীভাবে রিটার্ন আসবে সেটাও আমাদের জেনে রাখা উচিত। এসডব্লিউপি-তে (systematic withdrawal plan) এককালীন মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এরপর সেখান থেকে বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট সময় অন্তর তুলতে পারেন নির্দিষ্ট অংকের টাকা। এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ করা সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে বলেছেন বহু আর্থিক বিশেষজ্ঞ।
আরোও পড়ুন : ববি দেওলকে ছাড়ুন তো! অনেক আগেই ‘জামাল কুদু’ নাচে ফাটিয়ে দিয়েছিলেন এই বলি নায়িকা! জানতেন?
স্ক্রিপবক্সের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার অনুপ বনসল এই অবস্থায় সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানকে সেরা বিকল্প বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর কথায়, ‘এটা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের উল্টো। সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের সাহায্যে বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট সময় অন্তর জমা করা মোট টাকার একটা অংশ তুলতে পারেন’।
আরোও পড়ুন : সুবর্ণ সুযোগ! প্রচুর কর্মী নিয়োগ করছে BSF, দেখুন চাকরিপ্রার্থীরা কীভাবে আবেদন করবেন
যারা কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করছেন বা প্রবীণ নাগরিক তাদের কাছে বিনিয়োগের সেরা মাধ্যম হতে পারে এসডব্লিউপি। অনুপ বনসল জানাচ্ছেন, ‘আমার মতে, অবসরকালীন আর্থিক পরিকল্পনায় সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যানের জুড়ি নেই’। প্রতি তিন মাস অন্তর বা বছরে একবার বিনিয়োগকারী টাকা তুলতে পারেন এসডব্লিউপি-র মাধ্যমে।
বনসল বলছেন, ‘কিস্তিতে যে পরিমাণ টাকা তুলতে দেওয়া হয় তা একজনের খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ে, জীবনযাত্রার ধরনও বদলে যায়। সেই অনুযায়ী কিস্তির টাকা তোলার পরিমাণ বদলে নেওয়া যায়’। প্রতিমাসে কত পরিমান টাকা তোলা হবে সেই ব্যাপারে বিনিয়োগকারীর সতর্ক থাকা উচিত।
এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে মূলধনের উপর প্রাপ্ত সুদ কত। সাত শতাংশ যদি সুদ পাওয়া যায় তাহলে প্রতি মাসে কিস্তিতে ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের বেশি টাকা তোলা উচিত। অনুপ বনসলের কথায়, ‘এটা কীভাবে একটা পরিবারের খরচ চালানোর জন্য বাজেট ঠিক করতে হয়, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়’।