বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ড্রাগন শুধুমাত্র ভারত (India) নয়, আত্মসম্মানের উপর নির্ভর করে থাকা দেশগুলোর জন্যও সমস্যা সৃষ্টি করে। সর্বদা মুখর হয়ে থাকে অন্যদেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। ভারতের মতই তাইওয়ান (Taiwan) চীনের এক প্রতিবেশি দেশ। কিন্তু চীন (China) সরকার প্রথম থেকেই তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে গণ্য করে।
WHO-এর বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের সাহায্য প্রার্থী হচ্ছে তাইওয়ান
করোনা (COVID-19) সংকটের সমগ্র বিশ্ব এখন করোনা সংকটের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু অপরদিকে তাইওয়ান এই সংকটের মোকাবিলা করতে বেশ সক্ষম হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (WHO) যোগ দেবার জন্য ভারতের সাহায্য প্রার্থনা করেছে। কিন্তু দিল্লীতে অবস্থিত চীনের দূতাবাস এই সংবাদ পাওয়া মাত্রই প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে।
চীনের দূতাবাসের সতর্কবার্তা
চীনের দূতাবাস জানিয়েছেন, ‘তাঁদের এই সিদ্ধান্ত চীনের ওয়ান চায়না সিদ্ধান্তকে মাথায় রেখে করা উচিত। WHO সহ তাইওয়ানের সকল গতিবিধির উপর চীনের স্পষ্ট নজরদারী রয়েছে। তাইওয়ান চীনের অভিন্ন অঙ্গ। ওয়ান চায়না সিদ্ধান্তের মোতাবেক চীনের সরকার তাইওয়ানের বৈশিক স্বাস্থ্য বিধির ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে’।
ভারতকে প্রায় ১০ লক্ষ মাস্ক পাঠিয়েছে তাইওয়ান
করোনা ভাইয়ারসের মোকাবিলায় তাইওয়ান এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেখানে খুব সামান্য সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হলেও, মৃতের সংখ্যাও অনেক কম। ভারতের সঙ্গে কোন বিশেষ সম্পর্ক না থাকলেও গত সপ্তাহে ভারতকে প্রায় ১০ লক্ষ সার্জিক্যাল মাস্ক পাঠিয়ে সাহায্য করছে। আবার শোনা গিয়েছে, WHO -এর বৈঠকে অংশগ্রহণ করার জন্য ভারতের সাহায্য প্রার্থী হওয়ার দরুন ভারতকে এই সাহায্য করেছে তাইওয়ান।
বর্তমানে তাইওয়ান বড় বড় দেশের দ্বারা প্রশংসিত হচ্ছে
সংযুক্ত রাষ্ট্রে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে চীন তাইওয়ানকে WHO-এর বৈঠক থেকে বাইরে রাখার ব্যবস্থা করেছিল। এমনকি ব্রিফিং এবং জরুরী সম্পর্কিত বৈঠকেও তাইওয়ানকে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিল চীন সরকার। শুধুমাত্র করোনা মোকাবিলাই নয়, রাজনৈতিক দিক থেকেও তাইওয়ান জয়ী হয়েছে। কঠিন সময়ে সাহায্য করার কারণে, বিভিন্ন বড় বড় দেশ বর্তমানে তাইওয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিল গ্রেটস, বার্বারা, ট্রাইসেন্টের মতো তাবড় তাবড় রাজনৈতিক নেতারাও তাইওয়ানের প্রশংসা করছে।