বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদনের ভিত্তিতে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এমনকি, তার প্রভাব পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। প্রোফাইলের ডিপি পাল্টে তিরঙ্গায় সাজানো হয়েছে। পতাকা উত্তোলনের প্রস্তুতিও জোরকদমে চলছে বিভিন্ন বাড়িতে। আগ্রার ঐতিহাসিক নির্মাণগুলিও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে তাজমহলের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি খানিক ভিন্ন। তিরঙ্গার আলো এবারও পড়বে না তাজমহলের গায়ে। আর সেখানেই প্রশ্ন উঠত শুরু করেছে, তাজমহলে কেন উদযাপিত হচ্ছে না স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব?
তাজমহলকে আলোকিত না করার পিছনেও রয়েছে একটি বড় কারণ। আগ্রার ট্যুরিস্ট ওয়েলফেয়ার চেম্বারের সম্পাদক বিশাল শর্মা বলেন, মিত্র শক্তির সামরিক বাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভ করার সময় অর্থাৎ প্রায় ৭৭ বছর আগে তাজমহল সেজে উঠেছিল হরেক রকম আলোর রোশনাইতে। শুধু তাই নয়, বিশেষ অনুষ্ঠানেরও বন্দোবস্ত ছিল স্মৃতিস্তম্ভের ভিতরে।
সামাজিক কর্মী বিজয় উপাধ্যায়ের মতে, ১৯৯৭ সালের ২০ মার্চ বিখ্যাত পিয়ানোবাদক ইয়ানির একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাজমহলকে শেষ বারের মত আলো দিয়ে সাজানো হয় । পরের দিন সকালে দেখা গিয়েছিল যে, তাজমহলে মৃত পোকামাকড় স্তূপীকৃত অবস্থায় আছে।
পরে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের রাসায়নিক শাখা সুপারিশ করে যে, রাতে তাজমহলে আলো না জ্বালানোই শ্রেয়। কারণ স্মৃতিস্তম্ভের মার্বেলের ক্ষতি করে কীটপতঙ্গগুলি । তাই তখন থেকে আর আলো জ্বালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি।
যদিও আজকাল অনেক ভাল আলোর বিকল্প পাওয়া যায়, তবে আজও অব্যাহত রয়েছে ১৯৯৭ সাল থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা। শেষ পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।