চলন্ত ট্রেনের সামনে সেলফি তুলছিলেন এক ব্যক্তি, তারপর হাতেনাতে পেল ফল, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমরা সকলেই ব্যবহার করি। যার ফলে, যে কোনো জায়গায় এবং যে কোনো সময়ে আমরা নিজেদের পছন্দমতো ছবিও তুলে নিতে পারি। এমনকি, অনেকের কাছেই এই ছবি তোলার প্রবণতা অনেকটা নেশার মত হয়ে দাঁড়ায়। আর যার ফলও মাঝে মাঝে হয়ে ওঠে ভয়াবহ।

এমনিতেই বিভিন্ন জায়গায় সেলফি তুলতে গিয়ে বড় বিপদের সম্মুখীন হয়ে দুর্ঘটনার খবর আমরা প্রায়শই শুনেছি। এমনকি, অধিকাংশ সময়েই এই সব দুর্ঘটনাগুলি হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী। এছাড়াও, বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতার মাধ্যমে মানুষকে সচেতনের চেষ্টা করা হলেও এড়ানো যায়না এই দুর্ঘটনা। ঠিক সেইরকমই এক ঘটনার প্রসঙ্গ ফের একবার সামনে এসেছে। এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেখানে দেখা গিয়েছে যে, একজন ব্যক্তি চলন্ত ট্রেনের সামনে সেলফি তুলতে গিয়ে কার্যত বিপদ ডেকে এনেছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে আমরা নেটমাধ্যমে সকলেই সময় কাটাই। যার কারণে সেখানে উপস্থিত ভাইরাল ভিডিওগুলি খুব সহজেই চোখে পড়ে আমাদের। এছাড়াও, একাধিক কন্টেন্টের মধ্যেই এমন কিছু ভিডিও সেখানে মজুত থাকে যে সেগুলিকে দেখে মানুষ বর্তমান পরিস্থিতি উপলব্ধি করার পাশাপাশি সচেতনও হতে পারে। এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও তা স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে?
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একজন ব্যক্তি অবলীলায় একটি চলন্ত ট্রেনের সামনে সেলফি তুলতে গিয়েছিলেন। এদিকে, তিনি সেলফি তোলার নেশায় এতটাই মত্ত ছিলেন যে, ওই ব্যক্তি এক্কেবারে ট্রেনের খুব কাছাকাছি চলে যান। আর তারপরেই ঘটে বিপদ। ট্রেনের সজোরে ধাক্কায় রীতিমত ভালো ভাবে আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। তবে, সৌভাগ্যবশত প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর হাতে চোট পান ওই ব্যক্তি। আর এই পুরো দৃশ্যটিই স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে ভাইরাল ভিডিওটিতে।

মূলত, বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ট্রেনে ধাক্কা খান ওই ব্যক্তি। তবে, আঘাত পাওয়ার পর তিনি নিজেই উঠে বসেন এবং তাঁকে সাহায্য করতেও সেখানে উপস্থিত লোকেরা এগিয়ে আসেন। এদিকে, এই ভিডিওটিই বর্তমানে তুমুল ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। পাশাপাশি, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দর্শকসংখ্যাও। ইতিমধ্যেই ৩৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। এছাড়াও, ভিডিওটি দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর