২ কোটি টাকার কর বকেয়া! সত্যি কথা ফাঁস করায় শাস্তির মুখে তৃণমূলের কাউন্সিলর, কান ধরে ছবি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়

Published on:

Published on:

Tamluk Trinamool Congress Councillor in Trouble After Exposing 2 Crore Pending Taxes

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তমলুক পৌরসভার ২ কোটি টাকার কর আদায় হয়নি। বিভিন্ন সরকারি দফতর, ব্যাংক ও নার্সিংহোমের বকেয়া কর নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলে বিপাকে পড়লেন তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। শাসক দলের অন্দরেই তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। জেলা নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিয়েছে কড়া ব্যবস্থার।

২ কোটি টাকার কর এখনো বকেয়া, প্রকাশ্যে বলে দিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর

জানা গিয়েছে, তমলুক পৌরসভার প্রাপ্য প্রায় ২ কোটি টাকার কর এখনও বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে একাধিক সরকারি দফতর, ব্যাংক এবং নার্সিংহোম রয়েছে। আর এই খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন তৃণমূলেরই (Trinamool Congress) কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। অভিযোগ, ওই নার্সিংহোমগুলির কয়েকটি তৃণমূল নেতাদের মালিকানাধীন। ফলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি কাউন্সিলর শর্বরী চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, শাসক দলের নেতাদের মদতেই এই বকেয়া জমেছে।

অন্যদিকে, এই কথা জানাজানি হতেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে শুরু হয়েছে চাপা উত্তেজনা। তৃণমূল কাউন্সিলর তথা আইনজীবী পার্থসারথি মাইতি এই কর বকেয়ার প্রসঙ্গ তুলতেই অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত রায় খোলাখুলি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন তিনি। তাই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এর পরই রবিবার পার্থসারথি মাইতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কান ধরে ছবি পোস্ট করেন। সেখানে লিখেছেন, “কানে ধরে ভুল স্বীকার করছি। সত্য কথা বলা একটি পাপ।”

যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে আর কিছু বলতে চাননি পার্থসারথি মাইতি। তবে সূত্রের খবর, ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব অবশ্য এখনও নীরব। রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলা নেতৃত্বকে খোঁচা দিতেই এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন ওই কাউন্সিলর।

Tamluk Trinamool Congress Councillor in Trouble After Exposing 2 Crore Pending Taxes

আরও পড়ুনঃ প্রথমবার সরকারি স্বীকৃতি! এবার থেকে ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে বালুরঘাটে

প্রসঙ্গত, পার্থসারথি মাইতির এই পদক্ষেপ ঘিরে তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে একদিকে বিজেপি দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে, অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় “কানে ধরে ভুল স্বীকার” পোস্ট যে নতুন করে অস্বস্তি তৈরি করেছে শাসক শিবিরে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।