বাংলাহান্ট ডেস্ক: যে ‘মিটু’ বিপ্লব (Metoo Movement) গোটা দেশের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিল তা সর্বপ্রথম শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত (Tanusree Dutta)। তিনিই প্রথম বলিউড তারকা যিনি ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরের নোংরামোগুলো প্রকাশ্যে এনেছিলেন। শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে। আর তারপর থেকেই নাকি একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে তনুশ্রীর জীবনে।
বলিউডে যথেষ্ট পরিচিত নাম হওয়া সত্ত্বেও ক সময় ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন তনুশ্রী। দীর্ঘদিন পর ফেরত এসে নানার বিরুদ্ধে তুলেছিলেন বিষ্ফোরক অভিযোগ। তারপর থেকে একাধিক বার তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া ষড়যন্ত্র নিয়ে সরব হয়েছেন তনুশ্রী। এমনকি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ফের সেই একই অভিযোগ তুলেছেন তনুশ্রী। নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য তাঁর জীবন নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেন অভিনেত্রী। উজ্জয়িনীর মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার সময়ে গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তনুশ্রী। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে মারার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ঈশ্বরের আশীর্বাদে শুধু কয়েকটা হাড় ভেঙেছিল তাঁর। তবে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সুস্থ হতে অনেক সময় লেগেছিল তনুশ্রীর।
শুধু তাই নয়। অভিনেত্রী দাবি করেন, তাঁর বাড়িতে পরিকল্পনা করে এক পরিচারিকাকে পাঠানো হয়েছিল। আর তার আসার পর থেকেই ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন তনুশ্রী। তাঁর সন্দেহ, তাঁর পানীয় জলে বিষ মেশাতো ওই পরিচারিকা। যার জন্য তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন।
এর আগে তনুশ্রী জানিয়েছিলেন, ভারতে ফিরে আসার পর থেকেই নিজের কেরিয়ারটা নতুন করে শুরু করতে চাইছেন তিনি। অনেকে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। বেশ কয়েকটি সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজের জন্য হ্যাঁ ও বলেছেন তিনি। কিন্তু তারপরেই অদ্ভূত ভাবে প্রযোজকরা চুপ করে যান নয়তো বিনিয়োগকারীরা সরে দাঁড়ান। তনুশ্রী জানান, ২০২০ থেকে তাঁর সঙ্গে এই ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে। প্রতিবারই পরিচালক প্রযোজকদের হুমকি দেওয়া হয় তাঁর সঙ্গে কাজ না করতে।
তনুশ্রীর কথায়, “ওরা খুব ক্ষমতাশালী। কেউ ওদের চটাতে চায় না। তাই আমাকে এড়িয়ে চলেন ছবি নির্মাতারা। কেউ আমাকে কাজ দিতে রাজি নয়।” ওই ‘ক্ষমতাশালী’রা কারা? সচেতন ভাবেই কোনো নাম নেননি তনুশ্রী। কারণ হিসাবে তিনি জানান, তাঁর কাছে কোনো প্রমাণ নেই। তাছাড়া মামলার ভয়ও আছে। শুধু তনুশ্রী বলেন, মিটু বিপ্লবের সময়ে তিনি অনেককে রগড়ানি দিয়েছিলেন। এখন তারা নানান কৌশল করে তাঁকে সরাতে চাইছেন।