নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়! সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাপস, সঙ্গে আরোও এক এজেন্ট

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময় যত এগোচ্ছে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির জাল তত বিস্তার লাভ করছে। তালিকায় একের পর এক উঠে আসছে শাসক দলের তৃণমূল স্তরে নেতা থেকে শুরু করে প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীদের নাম। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ট তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal) যে অনেকদিন ধরেই সিবিআই আধিকারিকদের টার্গেট লিষ্টে রয়েছেন তা একপ্রকার বোঝাই যাচ্ছিল। এবার সেই অনুমানেই সিলমোহর পড়ল।

রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হলেন তাপস মন্ডল। দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ এর পর তার দেওয়া তথ্যে অসংগতি পাওয়ার জন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁরে মেডিক্যাল চেক আপের পর ফের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে কেবলমাত্র তাপস মণ্ডলই নয়, পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার আরও এক এজেন্ট নীলাদ্রি ঘোষও।

সিবিআই আধিকারিকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সামনাসামনি বসিয়ে জেরা করা হবে তাপস এবং নিলাদ্রিকে। এদিন নীলাদ্রির শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পরেই প্রকাশ্যে আসে তাপসের নাম। তাপস তদন্তকারীদের বলেছিলেন, তাঁর অফিস থেকে টাকা নিয়ে এজেন্টরা পৌঁছে দিতেন কুন্তলের কাছে। সেই কুন্তলই তাপসের দিকে একের পর এক অভিযোগ জানাতে শুরু করেছিলেন।

tapas 2

এদিকে, এদিন গ্রেফতারির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ খোলেন তাপস মণ্ডল। তিনি বলেন, “কেন আমাকে গ্রেফতার করা হল জানি না। আমি সহযোগিতা করছি।” যদিও কুন্তল অবশ্য আগেই বলেছিলেন, তাপসকে ঘুষ বাবদ ৫০ লাখ টাকা না দেওয়াতেই তিনি মিথ্যে মন্তব্য করছেন। তাপস অবশ্য পাল্টা দাবি করে বলেন, তিনি আদতে কোন টাকাই নেন নি। এবার তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আর্থিক লেনদেনের বৃহত্তর চক্রের সন্ধান পেতে চাইছে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর