বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০২১ এর ভোটকে টার্গেট করে তৃণমূল কংগ্রেস (All India Trinamool Congress) মাঠে নামছে।আর COVIED-19 এর জেরে সারা বিশ্ব যখন তোলপাড়। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসক সবাই। আর এর জেরে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ জনসমাবেশ। কবে এই পরিস্থিতি থেকে আমরা কবে মুক্তি তাও নিশ্চিত নয়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে বিজেপি (BJP) আগেই ভার্চুয়াল জনসংযোগে মনে দিয়েছে। তৃণমূলও চাইছে এই যুবযোদ্ধাদের ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে চাঙ্গা করতে, তাঁদের কর্মপদ্ধতি বুঝিয়ে দিতে। ব্লক স্তরে মানুষের সুবিধে অসুবিধেয় কাজ করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা, পার্টিকর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, গ্রামে গ্রামে ঘুরে জনসংযোগ গড়ে তোলা, এবং বিরোধীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করাই হবে এই যুবযোদ্ধাদের কাজ।
আগের বছর জুলাই মাসের শেষে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নামক অভিনব প্রচার শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আর এই কর্মসূচি দলকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে। এর ফলে সাফল্যও পেয়েছে অনেক। সেই সাফল্যকে মাথায় রেখেই বিধানসভা ভোটের কাজে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জী ‘যুব যোদ্ধা’ নামক অভিযান শুরু করতে চলেছে। এই অভিযানের লক্ষ্য, এক লক্ষ যুবযোদ্ধা তৈরি করা।
কী কাজ এই যুব যোদ্ধাদের? ‘বিজেপির অপপ্রচার রোধ করা’। ১১ জুনের মধ্যে এই প্রক্রিয়ার রেজিস্ট্রেশানও হয়ে গিয়েছে। আপাতত তিনটি কমিটি তৈরি করে (রাজ্য, জেলা, স্থানীয়) কাজ করবে এই দল। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ২৮০০ জন বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন। রেজিস্ট্রেশান হয়ে গেলেই, সদস্যদের তথা যুবযোদ্ধাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জুড়ে নেওয়া হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য-সহ সভাপতি জয়প্রকাশ নারায়ণ এই নতুন স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে বলেন, “তৃণমূল এখন বহিরাগত প্রশান্ত কিশোরের অঙ্গুলিহেলনে চলছে। এর মানে সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই কমছে।মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে ক্রমেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই নতুন প্রচারকৌশল মুখ থুবড়ে পড়বে।”