মুসলিম নারীরা এখনও সমানাধিকার পায়নি, বললেন তসলিমা নাসরিন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের দিনের পর দিন বাড়ছে নারী নির্যাতন। বিশেষ করে মুসলিম নারীদেরকে এখনো পর্দার আড়ালে রাখা হয়। নারীরা বর্তমানে বিশ্বে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। তবু কোথাও এগোতে পারেননি মুসলিম মহিলারা। মুসলিম মহিলাদের এখনো দিন কাটাতে হয় হিজাবের আড়ালে। নারীদের সমান অধিকারের কথা বলা হয় ঠিকই কিন্তু এখনো স্বাধীন হতে পারেননি মুসলিম নারীরা।

FB IMG 1567757542247 7

বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ইসলাম ধর্মের মেয়ে তসলিমা। তবু নিজের ধর্মের কট্টরপন্থী চিন্তাভাবনা মেনে নিতে পারেননি তসলিমা। পেশায় ডাক্তার তসলিমা নাসরিন বিতর্কিত লেখার জন্য বাংলাদেশ ছেড়ে বর্তমানে ভারতের বাসিন্দা। মুসলিম মহিলাদের ঠিক যেরকম নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তসলিমা নাসরিন তার একেবারে উল্টো। ইসলাম ধর্মের মেয়ে হয়েও থাকেননি হিজাবের আড়ালে আওয়াজ তুলেছে নারীদের অধিকার নিয়ে। সম্প্রতি তসলিমা নাসরিন হিজাব নিয়ে নিজের ফেসবুক থেকে একটি পোষ্ট লিখেছেন।

সেখানে তসলিমা বলছেন, “ভারতে মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের তিন তালাক অংশটি বাতিল করার পর প্রচুর লোক ভেবেছে মুসলিম নারীরা সমানাধিকার পেয়ে গেছে। হাইকোর্টের আদেশে বাংলাদেশে মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন ফর্ম থেকে কুমারী শব্দটি কেটে অবিবাহিত বসানো হয়েছে বলে, আর বর তালাকপ্রাপ্ত, অবিবাহিত, বা বিপত্নীক কিনা এই প্রশ্নটি করা হয়েছে বলে, অনেকে ভেবেছে, ধর্মীয় আইন বাতিল হয়ে গিয়েছে, বাংলাদেশের মেয়েরা সমানাধিকার পেয়ে গেছে। সম্পূর্ণই ভুল। ধর্মভিত্তিক পারিবারিক আইন সম্পূর্ণ বাতিল না হলে মেয়েদের সমানাধিকার পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ ধর্ম মেয়েদের সমানাধিকার মানে না। সমানাধিকারের ভিত্তিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি না চালু করা পর্যন্ত , শুধু ধর্মীয় আইনের ছিঁটেফোঁটা সংশোধন করে মানবাধিকারের ছিঁটেফোঁটাই মেয়েরা পাবে, সম্পূর্ণটা পাবে না।
কাবিননামার ২১ আর ২২ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে বরের বহু বিবাহের অধিকার। কনের বহু বিবাহের অধিকার কিন্তু পুরো কাবিননামার কোথাও নেই। তাহলে কী করে কুমারী শব্দটির বদলে অবিবাহিত লিখে দিলেই বৈষম্য ঘুচে যায়? বৈষম্য ঘোচেনি। কাবিননামা বা নিকাহনামা বৈষম্যে এখনও টইটম্বুর।”


সম্পর্কিত খবর