বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাতে গোনা আর মাত্র কদিন তারপরে বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। কলকাতায় দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ বেলুড় মঠের কুমারী পূজা। স্বয়ং সারদা মায়ের উপস্থিতিতে স্বামী বিবেকানন্দ কুমারী পূজা শুরু করেছিলেন। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু করেন। আর তারপর থেকেই প্রথা মেনে চলে আসছে এই কুমারী পুজো। বেলুড় মঠের কুমারী পূজা দেখতে উপচে পড়ে মানুষের ঢল। তন্ত্রশাস্ত্রমতে কুমারী পূজা হলো অনধিক ষোলো বছরের অরজস্বলা কুমারী মেয়ের পুজো। যদিও কুমারী পূজা মেয়ে অনেক রকম মতামত রয়েছে।বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন কুমারী পূজা কে কেন্দ্র করে নিজের মতামত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন।
তসলিমা লিখেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দ কাশ্মীর ভ্রমণের সময় এক মুসলমান মাঝির শিশুকন্যাকে কুমারী রূপে পুজো করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে এখন বাগুইয়াটির অর্জুনপুরের দত্তবাড়িতে এক মুসলমান দম্পতির শিশুকন্যা ফাতেমাকে পুজো করা হবে। দত্তবাড়ির লোকেরা চরম অসাম্প্রদায়িক এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কুমারী পুজো করাটা কি ঠিক? কুমারী পুজো মানেই তো রজঃস্বলা হলে মেয়েরা আর পবিত্র নয়, পুজোর যোগ্য নয়। এ কি আজো মানুষকে বিশ্বাস করতে হবে? করা উচিত?”