বাংলাহান্ট ডেস্ক: উদয়পুরের (Udaipur) ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। নবীকে অপমানের অভিযোগে উদয়পুরে এক দর্জিকে গলা কেটে হত্যা করে দুই দুষ্কৃতী। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজস্থান জুড়ে। হিন্দু সংগঠনের তরফেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এবার বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন তসলিমা।
সম্প্রতি একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘উদয়পুরে এক দর্জি কানহাইয়ালালকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে রিয়াজ এবং গিয়াস। তারপর সেই হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আর আনন্দের সঙ্গে ঘোষনা করেছে তারা খুন করেছে এবং তাদের নবীর জন্য সবকিছু করতে পারে। ধর্মান্ধরা এতটাই বিপজ্জনক যে হিন্দুরাও নিরাপদে নেই ভারতে।’
ঠিক কী ঘটেছে ঘটনাটা? পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, উদয়পুরের বাসিন্দা কানহাইয়ালালের আট বছরের ছেলে তাঁর মোবাইল থেকে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থনমূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেছিল। এক বিতর্ক সভার মাঝে পয়গম্বরকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন নুপুর। সেই বিতর্কের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে দেশ ছাড়িয়ে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রগুলিতেও।
নুপূরের সেই বিতর্কিত মন্তব্যের সমর্থনেই একটি পোস্ট শেয়ার করেছিল কানহাইয়ালালের আট বছরের নাবালক সন্তান। আর সেই ‘অপরাধ’ এর খেসারত নিজের প্রাণ দিয়ে দিতে হল কানহাইয়ালালকে। একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে হত্যকারীরা। সেখানে শুরুতে দেখা যায় দুই ব্যক্তির পোশাকের মাপ নিচ্ছে দর্জি কানহাইয়ালাল।
Riaz & Gias brutally killed Kanhaiya Lal, a tailor, in Udaipur and then uploaded the video of the killing on social media & happily declared that they killed & they can do anything for their prophet. Fanatics are so dangerous that even Hindus are not safe in India.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) June 28, 2022
তারপরেই মাংস কাটার ছুরি দিয়ে কানহাইয়ার গলা কেটে খুন করে দুই দুষ্কৃতী। ভিডিওতে রীতিমতো উল্লসিত কণ্ঠে তারা স্বীকার করেছে খুনের কথা। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তে তীব্র ক্ষোভ এবং ত্রাসের সঞ্চখর হয়েছে। ধানমন্ডি এলাকায় ঘটেছে ঘটনাটি। ইতিমধ্যেই পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
২৪ ঘন্টা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট আর্জি জানিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার। যদিও এমন নৃশংস ঘটনার ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফুঁসছে হিন্দু সংগঠন। দুই দুষ্কৃতীর ফাঁসির সাজা শোনানোর দাবিও উঠেছে। আপাতত দুই হত্যাকারীই পুলিসি হেফাজতে।