আল্লাহর সঙ্গে নিজের তুলনা! আপন ধর্ম নিয়েই ফের বিষ্ফোরক তসলিমা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিতর্ক এবং তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin) সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের ধর্মের রীতি নীতি, দেশ নিয়ে তাঁর বারংবার প্রশ্ন, লেখায় উঠে এসেছে বহুবার। তসলিমার জ্বলন্ত লেখনী জন্ম দিয়েছে বহু বিতর্কের। নিজের দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তিনি। তবুও সুর চড়াতে কখনোই পিছপা হতে দেখা যায়নি ‘লজ্জা’র লেখিকাকে।

নিজের ধর্মের উচিত অনুচিত নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন তসলিমা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের মতামত রেখেছেন তিনি। প্রয়োজন মতো ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে যেমন নিজের মনের কথা প্রকাশ করেছেন, মুসলিম মানেই ‘বদের হাড্ডি’ নয়। তেমনি আবার তুরস্ক সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে গর্জে উঠেছেন তসলিমা।

Taslima nasrin questioned about allah

শ্লেষ মিশিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মুসলমানদের চোখে যে কোনও সুস্থ সচেতন মুক্তবুদ্ধির মানুষই কাফের। শুধু তাই নয়— বিজ্ঞান কাফের। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব কাফের। টেকটোনিক প্লেটসগুলোও কাফের।’ তাঁর মতে, ইসলাম ধর্মকে এবার বিকশিত হওয়া উচিত। আর এবার ফের একবার নিজের ধর্ম নিয়েই বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তসলিমা।

আরও পড়ুন: মনে এত দয়া! ‘লোকে আমাকে সারদা মা বলে’, দাবি শ্রাবন্তীর

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রশ্ন, ‘কার পথ বেটার? আল্লাহর পথ নাকি আমার পথ?’ বলা বাহুল্য, লেখিকার এই পোস্টেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন পালটা প্রশ্ন করেছেন, ‘হুরের সংখ্যা বেশি কোন পথে?’ তসলিমা উত্তরে লিখেছেন, ‘আল্লাহর পথে’। আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনার পথ মানবতা,আর সৃষ্টি কর্তার পথ কুসংস্কার’। বেশিরভাগ মন্তব্যই অবশ্য এসেছে ‘আল্লাহর পথ’।

আরও পড়ুন: মহারাজকীয় কামব্যাক, ‘দাদাগিরি’র নতুন সিজন নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন সৌরভ

সম্প্রতি অপর একটি পোস্টে তসলিমা লিখেছিলেন, ‘আমার পোস্টে প্রচুর আল্লাহর বান্দা খিস্তি খেউড় করতে আসে। এরা আমাকে আল্লাহর পথে হাঁটার জন্য অহঃনিশি পরামর্শ দিচ্ছে। এরা যদি আমার লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকে, যুক্তিবুদ্ধি প্রয়োগ করতে থাকে, তবে বছর না যেতেই এই আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর পথ ছেড়ে আমার পথে হাঁটবে, ইনশাল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের বিতর্কিত অভিনেত্রী পরীমণিকে লম্বা চওড়া উপদেশ দিতে দেখা গিয়েছিল তসলিমাকে। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ছেলের নাম রাজ্য বদলে পদ্ম এবং পুণ্য রেখেছেন পরীমণি। স্বামীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা নাম বদলে ফেলেছেন তিনি। পরীমণির এই সিদ্ধান্তে খুশি তসলিমা লেখেন, ‘স্বামীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে বাচ্চার নাম রাখাটা বিশেষ পছন্দ হয়নি। স্বামীট্বামীরা আজ আছে, কাল নেই। সন্তান তো চিরদিনের। পরী তাঁর নামের সঙ্গে মিলিয়ে সুন্দর একটি বাংলা নাম রাখতে পারতেন।’

ad

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর