‘আল্লাহ আগেই কোরানে লিখে রেখেছেন’, মহাকাশের অদেখা ছবি প্রসঙ্গে কটাক্ষ তসলিমার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোমবার থেকে চর্চায় একটাই বিষয়, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Web Space Telescope)। এই অত‍্যাধুনিক টেলিস্কোপের সাহায‍্যেই অসাধ‍্য সাধন করেছে নাসা (NASA)। মহাবিশ্বের অদ্ভূত সুন্দর এবং সম্পূর্ণ অদেখা ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। প্রায় ১৩০০ কোটি বছরের সময়কার এক গ‍্যালাক্সির রঙিন ছবি ধরা পড়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।

নিকষ কালো আকাশে আতশবাজির মতোই জ্বলজ্বল করছে লাল, নীল, সাদা, হলুদ বিভিন্ন রঙের অগুন্তি আলোর ফুটকি। বলা হয়েছে, এই ছবিতে যে আলোর ফুটকি গুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো আসলে একাধিক ছায়াপথ। সবথেকে আশ্চর্যেথ বিষয় হল, এই ছবি ব্রহ্মাণ্ডের সূচনার সময়কার।

712781 taslima nasreen 1
নাসার এই কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববাসী। কিন্তু লেখিকা তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin) মন্তব‍্য বিতর্ক উসকে দিয়েছে এই বিষয়েও। নাসার শেয়ার করা ছবিটির প্রসঙ্গ তুলে বাংলাদেশি লেখিকা কটাক্ষ করেছেন, ‘কয়েকজন মোল্লা এখন বলছেন, “আজ নাসা যা খুঁজে পেয়েছে সেটা কোনো নতুন ব‍্যাপার নয়। আল্লাহ আগেই এ বিষয়ে লিখে রেখেছেন কোরানে”।’

তসলিমার টুইটের উত্তরে দু পক্ষে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে নেটিজেনরা। অনেকে লেখিকার কটাক্ষকেই সমর্থন করে সুর চড়াচ্ছেন। অনেকে আবার তাঁর নিন্দায় মুখর হয়েছেন। অবশ‍্য এমন বিতর্ক, নিন্দা লেখিকার কাছে নতুন নয়। তাঁর প্রায় সব মন্তব‍্যেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠে।

কিছুদিন আগেই ‘কালী’ পোস্টার বিতর্কে মুখ খুলেছিলেন তসলিমা। তাঁর কথায়, ‘হিন্দুদের যে জিনিসটা আমার ভালো লাগে তা হলো তাদের ভগবানকে যে যে রূপেই দেখুক, যে যেভাবেই কল্পনা করুক, এমনকী ভগবানকে যা খুশি তাই বলুক,  তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।

কারণ তাদের গল্পে ভগবানদের  নানা রকম কীর্তি কাহিনীর কথা লেখা, তারা,  মানুষের মতোই  কখনও ভালো কাজ করে, কখনও মন্দ কাজ করে। আদিকাল থেকে মানুষ এক ভগবানকে  মেনেছে, আরেক ভগবানকে মানেনি। অথবা সব ভগবানেরই সমালোচনা করেছে।’

কিন্তু এখন পরিস্থিতির বদল হয়েছে অনেকটাই। বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। ‘আঘাতকারীর মুণ্ডু’ চাওয়ারও দাবি উঠছে বলে মন্তব‍্য করেছেন তসলিমা। তাঁর মতে, এগুলো ‘উগ্র মুসলিম’দের কাছ থেকে শিখেছে হিন্দুরা। তিনি আরো লিখেছিলেন, ‘দুঃখ এই, হিন্দুরা দিন দিন মুসলমান হয়ে উঠছে।’


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর