বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় আজকাল কজন পড়ে? বাংলা শিখে কোন লাভ নেই! কেন বললেন তসলিমা নাসরিন!

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শিক্ষার পথিকৃৎ। ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি। শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচনা করেছেন জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য ‘বর্ণপরিচয় ‘। তিনি নারী মুক্তি আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন। বিধবাদের দুঃখ কষ্ট দেখে তিনি বিধবা বিবাহ আইন প্রচলন করেন। শুধু এই নয় তিনি তার নিজের পুত্রের সাথে এক বিধবা বিবাহ দেন। সমাজে বিদ্যাসাগরের দান কেউ কোনদিনও ভুলতে পারবেন না।

বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন বিতর্কিত লেখার জন্য বাংলাদেশ থেকে ২৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে ভারতে বাস করছেন। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মন্তব্য করলেন বিদ্যাসাগর মহাশয় কে নিয়ে। পড়ুন কি বললেন তিনি….

“বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশত বার্ষিকীতে ভাবছি —

বিদ্যাসাগরের মতো হিন্দু ধর্মের আরও কোনও সংস্কারক গত দুশ বছরে জন্মেছেন কি? কারও কথা তো জানিনা।

বিধবারা তো এখনও হবিষ্যি খান। একেবারে হবিষ্যি না হলেও মাছ মাংস বাদ দিয়ে খান। শাড়িও পরেন সাদা। একেবারে সাদা না পরলেও লাল রঙ এড়িয়ে চলেন। কপালে লাল টিপও পরেন না। এরকম আমি শিক্ষিত বাড়িতেই দেখেছি। বিধবার বিয়ে? হাজারে কি একটা হয়?

মেয়েদের শিক্ষাটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিড ডে মিল জুটবে বলে, বা বিয়ের পাত্র জুটবে বলে। মেয়েরা পড়াশুনো করে বড় হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে, সাবলম্বি হবে, নিজের জীবন নিজেই পরিচালনা করবে — এমন মহৎ উদ্দেশে নয়।

ধর্মীয় কুসংস্কারে বিদ্যাসাগরের সময়ে সমাজ যতটা আচ্ছন্ন ছিল, তার চেয়ে তো এখন কিছু কম আচ্ছন্ন নয়।

জাত পাতের বিরুদ্ধেও তো লড়েছিলেন বিদ্যাসাগর। জাত পাত ওপরে ওপরে আজ নেই হয়তো, ভেতরে ভেতরে ঠিকই কিন্তু আছে।

বিদ্যাসাগরের বাংলা বর্ণ পরিচয়? কজন পড়ে আজকাল! বাচ্চারা তো অ আ ক খ নয়, এ বি সি ডি পড়ে। বাংলা শিখে নাকি কোনও লাভ নেই, তাই পড়ে না।”

X