বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার বামেদের ব্রিগেড নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে হাত মেলেনোয় বামেদের তুলোধোনা করেন তসলিমা নাসরিন। তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, ‘বামপন্থী দল যখন ইসলামপন্থী দলের সঙ্গে হাত মেলায়, আমার তখন বড় দুঃখ হয়। সম্পূর্ণ বিপরীত দুই আদর্শ কী করে সহবাস করে আমি জানিনা। বামপন্থা বলে নারীর সমানাধিকার চাই, ইসলামপন্থা বলে নারীর সমানাধিকার চাই না। বামপন্থা বলে মানবাধিকার চাই, ইসলামপন্থা বলে মানবাধিকার চাই না। বামপন্থা বলে বিজ্ঞানে বিশ্বাস চাই, ইসলামপন্থা বলে বিজ্ঞানে বিশ্বাস চাই না।”
তসলিমা নাসরিন আরও লেখেন, ‘ বামপন্থা বলে ধর্মে বিশ্বাস নেই, ইসলামপন্থা বলে নাস্তিকের ফাঁসি চাই। বামপন্থা বলে মার্ক্স লেনিন জিন্দাবাদ, ইসলামপন্থা বলে মার্ক্স লেনিন নিপাত যাক। বামপন্থা বিশ্বাস করে এভ্যুলুশানে, ইসলামপন্থা বিশ্বাস করে ক্রিয়েশানিজমে। বামপন্থা বলে ধর্ম হলো আফিম, ইসলামপন্থা বলে সবার ওপরে ইসলাম ধর্ম তাহার ওপরে নাই। বামপন্থা বলে পয়গম্বরের সমালোচনা চলবে, ইসলামপন্থা বলে পয়গম্বরের সমালোচনা করলে মুণ্ডু কেটে ফেলবো।”
সর্বশেষে তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘ওদের সহবাসের ফলে বিজ্ঞানী জন্ম নেয় না, বরং জিহাদি জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।” ফেসবুকে তসলিমা নাসরিনের এই পোস্ট তুমুল ভাবে ভাইরাল হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে বিতারিত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন। কিন্তু ২০০৭ সালে ওনাকে পশ্চিমবঙ্গও ছাড়তে হয়। এরপর তিনি আমেরিকা, ইউরোপ ঘুরে ঘুরে দিন কাটান।
তসলিমা বারবার অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, ২০০৭ সালে রাজ্যের তৎকালীন বাম সরকার ধর্মান্ধ আর মৌলবাদীদের সামনে মাথা নত করায় তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। বামেরা মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও, মুসলিম তোষণ করে চলার অভিযোগ করেছিলেন তসলিমা। আর এবার বামেদের ব্রিগেডে আব্বাস সিদ্দিকীর উপস্থিতি নিয়ে সরব হলেন বাংলাদেশী লেখিকা।