বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই দেশের ই-কমার্স বাজার দখল নিয়ে নিয়েছে amazon, flipkart এর মত বিদেশি সংস্থা। বিদেশি সংস্থার সাথে টেক্কা দিতে whatsapp এর সাথে গাঁটছড়া বেঁধে jio এনেছে jio mart. এবার এই প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে চলেছে ভারতের অন্যতম বড় সংস্থা TATA গ্রুপ।
ভারত সহ সারা বিশ্বে টাটা একটি অন্যতম বড় সংস্থা। গাড়ি থেকে শুরু করে খাবার বহু রকমের ব্যাবসায়ে ইতিমধ্যেই সাফল্য পাওয়া টাটা গ্রুপ এতদিন সেরকম ভাবে ইন্টারনেট নির্ভর বাণিজ্যের পথে হাঁটেনি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই মুহুর্তে দেশ অনেক অংশেই ইন্টারনেট নির্ভর কেনাকাটা ও পরিষেবার দিকে ঝুঁকছে। তাই এবার এই দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছে টাটাও।
তবে জিও বা আমাজনের মত সরাসরি ই-কমার্স বাজারের দিকে হাঁটছে না টাটা গোষ্ঠী। তারা বাজারে আনতে চলেছে একটি সুপার অ্যাপ যেখানে এই সংস্থার সমস্ত রকম পরিষেবা চলে আসবে একই ছাতার তলায়। সুপার অ্যাপ মেচুয়ান অ্যান্ড গ্রাব খুবই জনপ্রিয় এবং সফল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চিনে। কিন্তু এখনো এই আইডিয়া ভারতের বাজারে পা রাখে নি। সব ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে টাটার এই সুপার অ্যাপ।
সম্প্রতি ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করতে জিওমার্টকে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। দেশের ছোট ও মাঝারি দোকান, মুদি, স্টেশনারি দোকান, হকার, ছোট ব্যবসায়ীদের এক ছাতার তলায় আনতে জিওমার্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ মিলে তৈরি হবে নতুন ই-কমার্স মডেল৷। যেখান থেকে অনলাইনেই স্থানীয় দোকান বা বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার দেওয়া যাবে। দাম মেটানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই। আর সেই অর্ডার নিয়ে বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেবে জিওমার্ট।
জিওমার্ট আর হোয়াটসঅ্যাপের জুটিতে ছোট ব্যবসায়ীরাও ডিজিটাল কেনাবেচায় অভ্যস্ত হবেন। লকডাউন বা ভবিষ্যতে এমন সঙ্কটের পরিস্থিতি এলে অনলাইনেই গ্রাহকরা জিনিসপত্রের অর্ডার দিতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যবসার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে দেশে। ছোট ব্যবসায়ীদের রুজি রোজগারে টান পড়বে না। দ্বিতীয়ত, সুবিধা রয়েছে গ্রাহকদেরও। বাড়ি বসেই সহজে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস চলে আসবে হাতে। জিওমার্ট যেহেতু রিল্যায়ান্স জিও-র প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় অফারও চলতে থাকবে বিভিন্ন সময়ে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা