বাংলা হান্ট ডেস্ক: কয়েক বছর আগে, Tata Nano ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে বিবেচিত হত। রতন টাটার স্বপ্নের এই গাড়ি ভারতীয় বাজারে বৈপ্লবিকভাবে প্রবেশ করেছিল। এমতাবস্থায়, এই আইকনিক গাড়ি এবার নতুন রূপে ফিরছে। শুধু তাই নয়, সাশ্রয়ী মূল্য ছাড়াও এবারে Tata Nano-তে উপলব্ধ হচ্ছে একাধিক বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও, চমৎকার মাইলেজ এবং সুরক্ষার সঙ্গে এটি নিঃসন্দেহে ভারতীয়দের জন্য একটি “ফ্যামিলি কার” হিসেবে বিবেচিত হবে। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা Tata Nano ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
নতুন রূপে ফিরছে Tata Nano:
মাইলেজ ৪০ কিমি: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, প্রতি লিটারে ৪০ কিমি মাইলেজ সহ, Tata Nano শহরের চালক থেকে শুরু করে প্রথমবারের মতো গাড়ি ক্রেতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। যে সমস্ত ছোট পরিবার একটি সাশ্রয়ী মূল্যের এবং সুবিধাজনক গাড়ি খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি নিখুঁত বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে।
নতুন Tata Nano-র লুক: নতুন Tata Nano দেখতে একটি প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাকের মতো। যার সামনের দিকের হেক্সাগোনাল গ্রিল, LED হেডল্যাম্প এবং ডে-টাইম রানিং লাইট (DRL) রয়েছে। এছাড়াও, বোল্ড অ্যালয় হুইল এবং নতুন রঙের অপশনগুলিও উপলব্ধ রয়েছে। মাত্র ৩.১ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স সহ, এটি ভারতের ব্যস্ত শহরের ট্রাফিক এবং পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও আদর্শ।
আরও পড়ুন: চিনের প্রতি মোহভঙ্গ? মুইজ্জুর উদ্যোগেই মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন মোদী! দুই দেশের মধ্যে ঘুঁচবে দূরত্ব
৬২৪ সিসির টুইন-সিলিন্ডার পেট্রোল ইঞ্জিন: নতুন Tata Nano-তে একটি ৬২৪ সিসির টুইন-সিলিন্ডার পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। যা প্রায় ৩৮ পিএস শক্তি এবং ৫১ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। গিয়ারবক্স বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে একটি ৫-স্পিড ম্যানুয়াল এবং একটি অটোমেটিক ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন। ভবিষ্যতে টার্বো-পেট্রোল, CNG এবং এক মডেলগুলিও পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা ২৫০ কিমি পর্যন্ত রেঞ্জ প্রদান করতে পারে।
মিলবে দুর্ধর্ষ ফিচার্স: প্রিমিয়াম লুক এবং ইউটিলিটির সমন্বয়ে, এই গাড়িটিতে রয়েছে ৭ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম (অ্যান্ড্রয়েড অটো, অ্যাপল কারপ্লে), ডিজিটাল ড্রাইভার ক্লাস্টার, স্টিয়ারিং অডিও নিয়ন্ত্রণ, ব্লুটুথ, ইউএসবি, এউএক্স সাপোর্ট, পাওয়ার উইন্ডোজ এবং সেন্ট্রাল লকিং। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সানরুফ এবং কমফোর্টেবল রিক্লাইনিং ফ্রন্ট সিটও উপলব্ধ রয়েছে। সেফটি ফিচার্সের মধ্যে রয়েছে ৪ টি এয়ারব্যাগ, EBD সহ ABS, ISOFIX চাইল্ড সিট মাউন্ট, পিছনের পার্কিং সেন্সর এবং ক্যামেরা, শক্তিশালী স্টিলের বডি শেল, সিটবেল্ট রিমাইন্ডার, ESC এবং সাইড ইমপ্যাক্ট বিম।
আরও পড়ুন: ভারতে পরিচালনা করে ৬,৭৫০ টি পেট্রোল পাম্প! রাশিয়ার সেই সংস্থাই দেশে করবে ৭০,০০০ কোটির বিনিয়োগ
দাম কত: দুর্ধর্ষ ফিচার্সযুক্ত Tata Nano ২০২৫-এর এক্স-শোরুম দাম মাত্র ২.৮০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু। অন্যদিকে কিছু এন্ট্রি-লেভেল গাড়ির দাম (কিছু ফিচার্স বাদ থাকবে) প্রায় ১.৪৫ লক্ষ টাকা হতে পারে। এদিকে, ইভি ভেরিয়েন্টের দাম ৫-৭ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল টাটা EMI অপশনও উপলব্ধ করে। যার মাধ্যমে আপনি ন্যূনতম ১,০০০-১,৫০০ টাকা পেমেন্টের মাধ্যমে গাড়িটি কিনতে পারবেন।