সাবধান! টি ব্যাগের স্বাদে ডুবে আছেন, এখানেই লুকিয়ে ভয়ঙ্কর দূষণ, হতে পারে লিভার, হার্ট অকেজো!

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চা খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যায়। দুধ চা হোক কিংবা লিকার চা সে হলেই হলো। আবার অনেকে, টি ব্যাগ (Tea Bag) গরম জলে মিশিয়ে চায়ের স্বাদ নেন। তবে এই যে টি ব্যাগ ব্যবহার করছেন জানেন এতে আপনার জীবনে কতটা ক্ষতি হচ্ছে? কারণ টি ব্যাগের মধ্যেই মিশে রয়েছে প্রচুর মাইক্রোপ্লাস্টিক। যার ফলে আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে রীতিমত অকেজো করে তুলছে। বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও এমনই তথ্য পেশ করেছে বিজ্ঞানীরা।

টি ব্যাগের (Tea Bag) কারণে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে:

সম্প্রতি বার্সেলোনার গবেষণা সংস্থা এমনই তথ্য পেশ করেছে। যেখান থেকে জানা গিয়েছে, টি ব্যাগ থেকে যে চা পান করছেন সেখান থেকে আপনার অজান্তেই শরীরের ভেতর প্লাস্টিক ঢুকে যাচ্ছে। তবে এই প্লাস্টিক শুধু পেটেই যাচ্ছে না একইসাথে আপনার রক্তে সরাসরি মিশে যাচ্ছে। দিনের পর দিন এমনভাবে রক্তে প্রবেশ করার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হার্ট, লিভার, কিডনি। মূলত ওই টি-ব্যাগের মধ্যে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিকই সবচেয়ে ক্ষতি করছে।

Tea bag dangerous of your health

ঠিক কি কি ক্ষতি করছে শরীরের? গবেষকদের মতে, দেহের কোষের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে টি ব্যাগে (Tea Bag) থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক। একই সাথে নিউরোনকেও প্রভাবিত করছে। অতিরিক্ত টি ব্যাগ (Tea Bag) ব্যবহারের ফলে রক্ত সঞ্চালনের ব্যাঘাত ঘটছে পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় লিভারের কার্যক্ষমতা লোপ পাচ্ছে ঠিক এই কারণে।

আরও পড়ুনঃ হায় হায়!এবার বাতিলের খাতায় এই কয়েনও! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত আমজনতার, কী করবেন এবার?

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কি চা পান করা বন্ধ করে দেবেন? চা পান করা বন্ধ করতে হবে না কিন্তু টি-ব্যাগের (Tea Bag) চা পান না করাই মঙ্গল। চেষ্টা করুন বাড়িতে বানিয়ে চা পান করার। একান্তই যদি টি ব্যাগের চা খেতেই হয় তাহলে সরাসরি খাবেন না। সেখান থেকে চাপাতা বের করে নিয়ে ফুটিয়ে খান তাতেও মঙ্গল। চিকিৎসকদের মতে ঘরোয়া উপাদানে চা বানিয়ে খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর