ভারত সুপ্রাচীন কাল থেকেই কৃষিনির্ভর। সম্প্রতি অনেক যুবকই চাকরি (job) ছেড়ে কৃষিতে (farming) আসেন। উত্তর প্রদেশের বড়বাঙ্কি জেলার দৌলতপুর গ্রামে একটি সরকারী স্কুলে শিক্ষক অমরেন্দ্র প্রতাপ সিংহ অবসরে কৃষিকাজ শুরু করেছিলেন। আজ তার এ বার্ষিক উপার্জন ৩০ লক্ষ টাকা।
অমরেন্দ্র জানান ২০১৪ সালে, তিনি স্কুলের ছুটিতে পরিবারের ৩০ একর জমিতে কৃষিকাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। ইউটিউব এবং অনলাইন টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে কৃষিকাজের আধুনিক পদ্ধতি শিখেছিলেন। তিনি এক একর জমিতে কলা ফলাবেন ঠিক করেন। ধীরে ধীরে তিনি আরও অনেক ফসল বাড়িয়েছিলেন। তিনি হলুদ, আদা এবং ফুলকপিও চাষ করতে থাকেন। পাশাপাশি জমিটিকেও উর্বরও করে তোলেন। তিনি জানান হলুদ থেকে প্রচুর উপার্জন করেন তিনি।
যদিও প্রথমদিকে তিনি কৃষিকাজে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্থ হন তিনি তবুও সেই ক্ষতি থেকে অনেক কিছুই শিখেছিলেন এই শিক্ষক। এই মুহুর্তে ৩০ একর পৈতৃক জমি ছাড়াও ২০ একর ইজারা জমি নিয়েছেন এবং তিনি সম্প্রতি আরো ১০ একর জমি কিনেছেন। এই খামারে তিনি ধনে, রসুন এবং ভুট্টার চাষ করেন। তিনি কৃষিতে এত লাভ করেছেন যে তিনি মোট জমিতে এক বছরে এক কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন। যার মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ টাকা লাভ হয়েছে তার।
যদিও এখনো তিনি চাকরি ছাড়েন নি, তবে এই মুহুর্তে তার আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। নিজের পাশাপাশি পাশের চাষীদেরও আধুনিক কৃষিকাজ শেখাচ্ছেন এই শিক্ষক। প্রায় ৩৫০ জন কৃষক এই মুহুর্তে তার সাথে যুক্ত