‘আপনি ভুয়া” WhatsApp এ মেসেজ আসতে অপমানে আত্মঘাতী শিক্ষক! উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে কটুক্তি করা হয় শিক্ষককে। সেই কটুক্তি সহ্য করতে না পেরে অপমানে আত্মঘাতী হলেন শিক্ষক। একটি ফাঁকা ঘর থেকে উদ্ধার করা হলো শিক্ষকের ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আসতে মৃত শিক্ষকের স্ত্রীর বয়ান থেকে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। মৃত শিক্ষক বাপ্পা বর্মন কোলাঘাট থানার দেঁড়িয়াচক গ্রামের হাই স্কুলের শিক্ষক। আজ সকালে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত মৃতদেহ। সূত্রের খবর, সকালে বাড়িতে কেউ না থাকায় বাড়ির পাশে একটি টালির চালের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাপ্পা বর্মন।

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত শিক্ষকের মোবাইল ফোনে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজে লেখা ছিল বাপ্পা বর্মন নাকি ভুয়ো শিক্ষক। এরপর বাপ্পা বর্মনকে ঘিরে শুরু হয় কটুক্তি। অনেকে তাকে চোর বলেও সম্বোধন করতে থাকে। এরপর তীব্র অবসাদে ভুগতে থাকা বাপ্পা বর্মন বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।

মৃত শিক্ষক বাপ্পা বর্মনের স্ত্রী জানিয়েছেন, কেউ বা কারা তার স্বামীর মোবাইলে এই মেসেজটি পাঠিয়েছিল। তারা অভিযোগ করে বাপ্পা বর্মন একজন ভুয়ো শিক্ষক। তারপর তার স্বামীর মোবাইল ফোন হ্যাক করে সেই মেসেজ ভাইরাল করে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। এরপর সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে তার স্বামী বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোলাঘাট থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। এক স্থানীয় বাসিন্দার মন্তব্য, “আমরা দুই রকম কথা শুনতে পাচ্ছি। কোন কথাটা সত্যি তা জানিনা। হয়তো চাকরির ব্যাপারে কোনরকম গোলমাল এর জন্য এই ঘটনা বাপ্পা বর্মন ঘটিয়েছেন। অন্যদিকে আবার চুরির কোন ঘটনা সামনে আসছে। উনি নাকি কারোর থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা সময় মত শোধ দিতে পারেননি। ”

অন্যদিকে বাপ্পা বর্মনের স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, “২৮ তারিখ আমাদের স্কুল খুলেছিল। কিন্তু পুজোর ছুটির পর থেকে বাপ্পা বর্মন স্কুলে আসেননি। উনি ২০১৯ সালে চাকরি পেয়েছিলেন। ছেলে হিসেবে ভালই ছিল। এর থেকে বিস্তারিত জানিনা।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর