বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষকরা সমাজের এমন এক ব্যক্তি যাদের দিকে তাকিয়ে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা। কারণ তাদের আচরণের মুহূর্তগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে খুব অনুসরণযোগ্য। কিছু কার্যকলাপ যদি মানানসই না হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে তবে তা দৃষ্টিকটু হয়। শিক্ষকদের দিক থেকে এই শিক্ষকরা যখন তাদের চিন্তাভাবনার স্তর থেকে সরে এসে কিছুটা অন্যভাবে জীবন উপভোগ করেন তখন তার কিছু প্রভাব পড়ে মানুষের কাছে। আপনাদের অন্য জায়গা হয়ে ওঠে। এমনই এক ঘটনা ঘটলো রাজস্থানে প্রশিক্ষণ শিবিরে পড়াতে পড়াতে বোধহয় ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন! অতঃপর বিরতির সময়ে আনন্দ-ফুর্তি করতে গিয়ে শিক্ষকরা যা ঘটালেন, তাতে করে শিক্ষাস্থানে এমন কাণ্ড দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে অনেকেরই। ক্লাস রুমের মধ্যে এমন কান্ড দেখে হতবাক অনেকেই। ক্লাসরুমের মধ্যেই উচ্চস্বরে বাজছে নাগিন ডান্স গানটি। আর এদিকে কার্পেটের উপর অঙ্গভঙ্গী করে নাচছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। আর সেই ভিডিওই ভাইরাল হতে তুলকালাম কাণ্ড বাধে সেই স্কুলে। বহু তর্ক-বিতর্ক করেও শেষরক্ষা হয়নি ওঁদের। বরখাস্ত করা হয় এক শিক্ষককে। এবং শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে ওই দুই নাগিন নৃত্যরত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে।
দু’জন পুরুষ-মহিলার এমন নাচের ভঙ্গি দেখে অনেকেই ‘অশ্লীল’ বলে মন্তব্য করেছেন।কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত যে শিক্ষাঙ্গনে একটু তাদের মানিয়ে চলা কারণ ব্যক্তিগত জীবন অবশ্যই তাদের আছে কিন্তু তা যেন কখনোই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে। তার উপর যদি এমন ঘটনা ঘটে শিক্ষাঙ্গনে, তাহলে তো সমালোচনার মুখে পড়াটাই স্বাভাবিক, বলছেন নেটিজেনরা।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অশোক রোয়েশওয়াল নামে জালোরের শিক্ষাদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই নাচের মূল উদ্যোক্তা যে শিক্ষক, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর বাকি দু’জনকে শো-কজ ধরানো হয়েছে। এই দু’জনকে আসলে দিন কয়েক আগেই নিয়োগ করা হয়েছিল। তাই তাঁরা সরকারি স্কুলের নিয়মকানুন জানেন না। আর সেজন্য একটা সুযোদ দেওয়া হবে ওঁদের। নাচ বা কোনও অ্যাক্টিভিটিজ আয়োজনে কোনও ক্ষতি নেই, তবে তা শৃঙ্খলার মধ্যে হওয়াই বাঞ্ছনীয়। পরবর্তীকালে এই শৃঙ্খলা রক্ষা যেন আরো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তার দিকেও শিক্ষা দপ্তর থেকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে।