বাংলাহান্ট ডেস্ক : দ্বাদশ শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা উঠে যাবে। তার বদলে হবে টিচিং লার্নিং। নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু হওয়ার সাথে সাথে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে বদলে যাবে পরীক্ষার সময়সীমাও। সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর সিলেবাসও বদলে যেতে উচ্চ মাধ্যমিকে। এত বড় বদল আসতে চলেছে প্রায় ১১ বছর পর।
মোট চারটি বিভাগে পরীক্ষা হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে। অর্থাৎ এই টিচিং লার্নিং পদ্ধতি চালু হতে চলেছে চারটি সেমিস্টার মিলিয়ে। উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসের নতুন কী থাকতে চলেছে? জানা যাচ্ছে, শ্রীজাতর কবিতা থাকতে চলেছে বাংলা বিষয়ে। আধুনিক বা পোস্ট মর্ডান যুগের পাঠ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে ইতিহাসে।
আরোও পড়ুন : স্ট্রোক হয়েছে ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনীর! জানুন, স্মার্ট দিদির শরীর এখন কেমন
সময়ের সাথে তাল মেলাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI প্রযুক্তিও পড়ানো হবে পড়ুয়াদের। সংসদের জারি করা নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলগুলি প্রথমে পড়ুয়াদের একাদশ শ্রেণীর প্র্যাকটিক্যাল ও থিয়োরি পেপারের নম্বরের উপর খেয়াল রাখবে। তার ভিত্তিতে দ্বাদশের সেমেস্টারে বসার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। একাদশ শ্রেণির পেপারে পাশ নম্বর নির্ধারিত করা থাকবে।
আরোও পড়ুন : বিশ্বের সবথেকে পুরনো ১০টি রেল স্টেশন! তালিকায় ভারতেরও একটি, জানুন কোথায় আছে
নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রেও সংসদ নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। যে বিষয়ে প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষা হবে না, সেখানে দু’টি সেমেস্টারের জন্য ৪০ নম্বর করে ও ২০ নম্বর করে থাকবে প্রজেক্টে। সব মিলিয়ে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হলে নম্বর ভাগ হবে ৭০ ও ৩০ করে। দুটি সেমিস্টার মিলিয়ে ৭০ নম্বরটি ৩৫ করে ভাগ করে দেওয়া হবে।
শারীরশিক্ষা, মিউজিক ও ভিজুয়াল আর্টস অন্তর্ভুক্ত নেই এই নম্বর বিভাজনের মধ্যে। কত ঘন্টা পঠন-পাঠন করতে হবে পড়ুয়াদের? সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, মোট ২০০ ঘণ্টা সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম সেমেস্টারের ১০০ ঘণ্টা, দ্বিতীয় সেমেস্টারে ৮০ ঘন্টা ও রেমিডিয়াল, টিউটোরিয়াল ক্লাস ও হোম অ্যাসাইনমেন্ট ক্লাসের জন্য ২০ ঘন্টা ধরা হয়েছে।