বাংলা হান্ট ডেস্ক: রায়পুরের শহিদ বীর নারায়ণ সিং আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সম্পন্ন হয়েছে দ্বিতীয় ODI ম্যাচ। যেখানে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। সবথেকে অবাক করার মতো বিষয় হল, ভারত ৫ উইকেটে ৩৫৮ রান করেও ওই ম্যাচ জিততে পারেনি। রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯.২ ওভারে জয়লাভ করে। এটি ভারতের বিরুদ্ধে ODI ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সফল রানচেজ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ODI-তে পরাজিত হয়েছে টিম ইন্ডিয়া (Team India):
দলের পরাজয়ের প্রসঙ্গে কী জানিয়েছেন কেএল রাহুল: ভারতীয় অধিনায়ক কেএল রাহুলের মতে, এই ম্যাচে পরাজয় হজম করা কঠিন নয়। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে ভারী শিশিরের কারণে বোলিং করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ম্যাচ হারের পর কেএল রাহুল বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে কতটা শিশির আছে এবং বোলিং করা কতটা কঠিন তা বিবেচনা করে, আম্পায়ার এতটাই ভালো ছিলেন যে তিনি বলটি বদলে দেন। টস একটা বিরাট ভূমিকা পালন করে। টস হেরে যাওয়ার জন্য আমার নিজের প্রতি অনুশোচনা হচ্ছে।’

তবে, রাহুল এটাও জানিয়েছেন যে, বোলার এবং ফিল্ডাররা আরও ভালো করতে পারতেন। তাঁর মতে, ‘সবসময় এমন কিছু থাকে যা আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। ব্যাটিংয়ে, আমি জানি ৩৫০ রান একটা ভালো স্কোর ছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচের পরেও, ড্রেসিংরুমে আলোচনা ছিল কীভাবে আমরা অতিরিক্ত ২০-২৫ রান করে বোলারদের ভেজা বলে স্বস্তি দিতে পারি।’
আরও পড়ুন: তৎকাল টিকিটে বড় বদল রেলের সিদ্ধান্তে, কাউন্টারে এবার বাধ্যতামূলক ওটিপি যাচাই
রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের প্রশংসা: রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং বিরাট কোহলির মধ্যে ১৯৫ রানের জুটির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করে কেএল রাহুল বলেন, “রুতুকে ব্যাট করতে দেখে দারুন লেগেছে। আমরা বিরাট কোহলিকে ৫৩ বার সেঞ্চুরি করতে দেখেছি। তিনি তাঁর কাজ করেই চলেছেন। রুতুকে ব্যাট করতে দেখে, হাফ সেঞ্চুরির পর যেভাবে তিনি গতি বাড়িয়েছেন, তা দেখে দারুণ লেগেছে। তিনি যে গতিতে ব্যাট করেছেন এতে আমাদের অতিরিক্ত ২০ রান দেওয়া এসেছিল। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা আরও বেশি অবদান রাখতে পারতেন।’
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে ‘জনতা কা সেবক’ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নাম, নতুন কমপ্লেক্সের নাম রাখা হবে ‘সেবাতীর্থ’
জানিয়ে রাখি যে, রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ভারত ১৭ রানে জিতেছে। এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা এনেছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর সম্পন্ন হতে চলা ম্যাচটি নির্ণায়ক হয়ে উঠবে।












