বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হুরিয়তের নেতা আশরাফ সেহরাইকে (Ashraf Sehrai) পাবলিক সেফটি অ্যাক্টের আওতায় আটক করা হল। এরই সঙ্গে আটক করা হয়েছে নিষিদ্ধি জামাত ই ইসলামি গোষ্টীর বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্যকে। রবিবার জম্মু কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং এখবর জানান।
জানা গিয়েছে,দিন কয়েক আগেই জম্মু-কাশ্মীরের প্রবীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি রাজনীতি থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। গিলানির কাছ থেকে নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন শেহরাই।পাকিস্তানপন্থী তেহরিক-ই-হুরিয়ত সংগঠনের চেয়ারপার্সন। তাঁর সঙ্গে আটক হয়েছে জামাত-এ-ইসলামির প্রায় ১২ জনকে।
Tehreek-e-Hurriyat Chairman Mohd Ashraf Sahrai detained by police from his residence in Srinagar: Jammu & Kashmir Police pic.twitter.com/6GQ5FOjU8S
— ANI (@ANI) July 12, 2020
তেহরিক ই হুরিয়ত গোষ্ঠীর নেতা সেহরাই। এই গোষ্ঠী নানাভাবে পাকিস্তানকে মদত ও সমর্থন দিয়ে থাকে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে জামাতের প্রায় বারো জন সদস্যকে এদিন আটক করা হয়েছে। কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি রাজনীতি থেকে ও হুরিয়ত কনফারেন্স থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পরেই সক্রিয় হয় পুলিশ। গিলানির পর এই গোষ্ঠীর দায়িত্ব নিয়েছিল সেহরাই। অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্সের দায়িত্ব নেয় সে। এই পার্টি ২৬টি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে।
সেহরাইয়ের ছেলে জুনেইদ সেহরাই চলতি বছরের মে মাসে সেনাবাহিনী গুলিতে খতম হয়। কাশ্মীরের নওয়াকাদাল এলাকায় সেনার এনকাউন্টারে নিকেশ হয় সে। হিজবুল মুজাহিদিনের ডিভিশনাল কমান্ডার ছিল এই জুনেইদ।
এদিকে, শনিবারই জম্মু কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলায় ফের সেনা জঙ্গি সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে খতম করা হয় দুই লস্কর ই তইবা জঙ্গিকে। নিয়ন্ত্রণরেখার মাত্র ১০০ মিটার দূরে এই জঙ্গিদের নিকেশ করা যায় বলে সেনা সূত্রে খবর। এদিকে, শনিবার মাঝ রাতে টহলদারি চালানোর সময় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটতে দেখে গুলি চালায় সেনা।
দুই মৃত জঙ্গির মধ্যে একজন ২৩ বছরের ইদ্রিস আহমেদ ভাট। কুপওয়ারার হান্দওয়ারা এলাকার বাসিন্দা। এই দুই জঙ্গিই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তইবার সক্রিয় সদস্য বলে জানা গিয়েছে। এদের দুজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে এ কে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, শতাধিক বুলেট, চিনের পিস্তল, অস্ট্রিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি চারটি গ্রেনেডও।