ভোটে জিতলেই প্রত্যেক পরিবারে মিলবে সরকারি চাকরি! নির্বাচনের আগে বিরাট প্রতিশ্রুতি তেজস্বীর

Published on:

Published on:

Tejashwi's big promise before Bihar Elections.

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বিহার (Bihar) বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। নভেম্বরেই হবে ভোটের মহাযজ্ঞ। এরই মধ্যে রাজনৈতিক ময়দানে নামছে একে একে সব দল। তবে ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির ঝড় তুলেছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদব। বৃহস্পতিবার পাটনায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেছেন, বিহারে ‘মহাগটবন্ধন’ সরকার গঠিত হলে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। তাঁর দাবি, সরকার গঠনের ২০ দিনের মধ্যেই এই প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজ শুরু হবে এবং ২০ মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করা হবে।

বিহার (Bihar) বিধানসভা নির্বাচনের আগে তেজস্বীর বিরাট প্রতিশ্রুতি

তেজস্বীর এই ঘোষণার পরই বিহারের (Bihar) রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী শাসকদল জেডিইউ ও বিজেপি যেখানে ভোটের আগে উন্নয়ন ও ভাতা প্রকল্পের কথা বলছে, সেখানে তেজস্বীর এই প্রতিশ্রুতি সরাসরি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস—যা তরুণ ভোটারদের কাছে বেশ বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী বলেন, “গত ২০ বছরে এই সরকার বুঝতেই পারেনি বিহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকারত্ব। এবার আমরা সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান আনব। প্রতিটি ঘরে একজন সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা হবে—এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”

আরও পড়ুন: দীপাবলির আগেই রাজ্য পেল বড় উপহার! বাংলাকে ৬৮০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র

তেজস্বীর দাবি, তাঁর এই প্রতিশ্রুতি কেবল নির্বাচনী প্রচারের কথা নয়, বরং তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তৈরি পরিকল্পনা। তিনি বলেন, “আমরা কোনও ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছি না। বিহারের (Bihar) সম্পদ ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনা করেই আমরা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।” তিনি আরও যোগ করেন, সরকার গঠনের পরে প্রথম ২০ দিনের মধ্যে আইন পাশ করে এই প্রকল্প চালু করা হবে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান, বিহারে (Bihar) বিধানসভা নির্বাচন শুরু হবে আগামী ৬ নভেম্বর থেকে এবং দু’দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে ১১ নভেম্বর। ভোট গণনা হবে ১৪ নভেম্বর, আর পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হবে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময় কমিশনার বিহারে চলতে থাকা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন এবং জানান, ভোটার তালিকা সংশোধনে বিহার এবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

Tejashwi's big promise before Bihar Elections.

আরও পড়ুন:তরতরিয়ে এগোচ্ছে দেশ! গ্লোবাল ইকোনমির অন্যতম চালিকাশক্তি ভারত, কী জানালেন IMF প্রধান?

ভোটের সময় ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। একদিকে জেডিইউ-বিজেপির উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণের প্রচার, অন্যদিকে আরজেডির “প্রতিটি ঘরে চাকরি” প্রতিশ্রুতি—এই দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে বিহারের রাজনীতি এখন চরম উত্তেজনায় ভরপুর। তেজস্বীর বক্তব্যে যেমন তরুণদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার ঘটেছে, তেমনই বিরোধী শিবিরে উঠছে প্রশ্ন—এই প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য। তবে নির্বাচনের আগে বিহারে (Bihar) বেকার যুবকদের মন জয় করতে তেজস্বীর এই ঘোষণাকে এক ‘গেম চেঞ্জার’ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।