বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফতেপুর সিক্রির (Fatehpur Sikri dargah Case) নিচে রয়েছে কামাখ্যা মন্দির। এই ধরনের চাঞ্চল্যকর দাবি করে এক আইনজীবী দায়ের করলেন মামলা। অজয় প্রতাপ সিং নামের এক আইনজীবী এই মামলাটি দায়ের করেছেন আগ্রার (Agra) একটি দেওয়ানি আদালতে। আদালতের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে মামলাটি।
এই আইনজীবী জানিয়েছেন, ফতেপুর সিক্রিতে যে সেলিম চিস্তির দরগা রয়েছে সেখানে আদতে মা কামাখ্যার মন্দির ছিল। আর এই মন্দির চত্বরেই তৈরি করা হয়েছে পাশের মসজিদ। এই বিতর্কিত জমিটি আর্কিলজিক্যাল অফ ইন্ডিয়ার পর্যবেক্ষণে রয়েছে বর্তমানে। অজয় প্রতাপ সিং নামে ওই আইনজীবীর আরো দাবি, এই জায়গাটিকে সিক্রি বা বিজয়পুর সিক্রি বলে উল্লেখ করা হয়েছে বাবরনামাতে।
আরোও পড়ুন : তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ! সন্দেশখালি ইস্যুতে এবার মাঠে নামল মহিলা কমিশন
এই জায়গার অতীতের যে ঐতিহ্য ছিল সেটি মনে করিয়ে দেয় এই বিষয়টি। এই আইনজীবী নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের রিপোর্টের। আইনজীবী জানান এই ব্যাপারে মাটিতে খনন কার্য চালানো হয়েছিল প্রাক্তন সুপারিনটেনডেন্ট আর্কিওলজিস্ট ডিবি শর্মার নেতৃত্বে। প্রতাপ সিং দাবি করেছেন খননকার্য চালানোর সময় ওই দরগার বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া গেছে যীশুর জন্মের হাজার হাজার বছর পরের হিন্দু ও জৈন ধর্মের বিভিন্ন পুরাকীর্তি।
আরোও পড়ুন : দীর্ঘদিনের দাবি মানল রেল! নয়া জংশন স্টেশন শিয়ালদহ ডিভিশনে
পাশাপাশি ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে এই আইনজীবী বলেছেন, নিরাপত্তার কারণে ওই স্থানে থাকা মা কামাখ্যার মূর্তিটি খানওয়া যুদ্ধের সময় সিক্রির রাজা রাও মহাদেব সরিয়ে নিয়ে যান গাজিপুরে। এরপর থেকে পরিচয় পরিবর্তন করতে শুরু করে মন্দিরটি। ভারতীয় আইন অনুসারে, মন্দির হিসাবে যদি কোনও পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে তাহলে সেটির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যায় না।
দেওয়ানি আদালতের বিচারক মৃত্যুঞ্জয় শ্রীবাস্তব এই মামলাটি গ্রহণ করার পর নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন। অষ্ঠান মাতা কামাখ্যা, আর্য সংস্কৃতি সংরক্ষণ ট্রাস্ট, যোগেশ্বর শ্রী কৃষ্ণ সাংস্কৃতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট ট্রাস্ট ও ক্ষত্রিয় শক্তিপীঠ বিকাশ ট্রাস্ট এই মামলার স্বপক্ষে রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল বোর্ড এবং সেলিম চিস্তি দরগা ও জামা মসজিদের ম্যানেজমেন্ট কমিটি রয়েছে এই মামলার বিপক্ষে।