বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে হঠাতই উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। উত্তেজনার আগুন ছড়িয়ে পড়ল দক্ষিণ ২৪ গরগনার একাধিক জায়গায়। আজ ডায়মন্ড হারবারে একটি দলীয় সভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছনোর আগেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কুলপি বিধানসভা এলাকার হটুগঞ্জ বাজার এলাকা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারীরা যে গাড়িতে যাচ্ছিলেন, সেই সব গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের রাস্তাও আটকানো হয়েছে। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার সময় বিজেপি-র কর্মীরা পালটা প্রতিরোধ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ভাঙচুর করা হয় একের পর এক দোকানে। মোটরবাইকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, পুলিশের সামনেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় দোকানপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় র্যাফ। কিন্তু পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত থাকায় যথেষ্ট বেগ পেতে হয় বাহিনীকে।
এই ঘটনার পর শুভেন্দু অধিকারী তোপ দেগেছেন তৃণমূলের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, “আমার যাওয়ার রাস্তা ছাড়া সব রাস্তা তৃণমূল আটকে দিয়েছে। বিজেপি সমর্থকদের সভাস্থলে যেতে বাধা দিচ্ছে।” উল্লেখ্য, আজই শুভেন্দুর খাসতালুক কাঁথিতে একটি সভায় যোগ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তারই পাল্টা তৃণমূল সাংসদের ক্ষেত্রে সভা করার যথা শুভেন্দু অধিকারীর।
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “মনে রাখবেন, আজ দক্ষিণবঙ্গের আরও একটি জায়গা পূর্ব মেদিনীপুরেও একটি সভা হচ্ছে। আমিও চাইলে অবরোধ করতে পারি। কোলাঘাট থেকে মারিশদা পর্যন্ত কাঠের গুঁড়ি ফেলে দিতে পারি। মাত্র ৩ সেকেন্ড সময় লাগবে। কিন্তু আমরা এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।”
শুভেন্দু অধকারীর অভিযোগ, তৃণমূল তাঁকে আটকাতে গুন্ডাবাহিনী নামিয়েছে। কিন্তু বিজেপি এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। তাই এই ধরনের কাজও তাঁরা করবেন না। এই গন্ডোগোলের পর শুভেন্দুর যাত্রাপথে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা