বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Case) চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় শুক্রবার শিয়ালদহ এসিজেএম আদালতে সৃষ্টি হল নাটকীয় পরিস্থিতি। আদালত ভরা অবস্থায় নির্যাতিতার মা সরাসরি আঙুল তুলে বলেন, “নির্লজ্জ”, আর সেকথা শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজা। আদালতের বাইরে বেরিয়েও চোখের জল সামলাতে পারেননি তিনি। বেরিয়ে এসে বলেন, “আমি নিজেও একজন মা।”
আর জি কর মামলায় (RG Kar Case) সপ্তম কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই
শুক্রবার এই মামলার (RG Kar Case) বৃহত্তর ষড়যন্ত্র তদন্তে সপ্তম কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। তবে তদন্তে স্পষ্ট অনাস্থা প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির নির্দেশ থাকলেও মূল চক্রীকে আড়াল করা হচ্ছে।
বিচার চলার সময় সরাসরি বিচারক অরিজিৎ মণ্ডলের উদ্দেশ্যে নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করে বলেন, “সিবিআই অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য যা করার তাই করছে। হোস্টেলে ঠিক কী পাওয়া গিয়েছে সেটা তদন্তকারী অফিসার বলুন। এতদিন ধরে তিনি আমার ফোন ধরেন না। দিল্লিতে গিয়ে ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলার পর উনি বলেন তাহলে আমরা মামলা ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা বলেছিলাম, সেটা আদালতে বলুন।” এর পর তিনি জানান, সিবিআই তাঁদের পরে ডেকে বলে যে অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়া হবে।
এই অভিযোগ শুনে বিচারক জানতে চান, “হোস্টেলে কি রিলেভান্ট কিছু পাওয়া গিয়েছিল?” জবাবে নির্যাতিতার বাবা বলেন,“ছিল। আমরা সেটা গোপন জবানবন্দিতে জানাব। তদন্তকারী অফিসার আমাদের বাড়িতে এসে বলেছিলেন মেয়েটার কপাল খারাপ, সঞ্জয় গিয়ে এটা করেছে।”
এরপর আদালতে আরও ক্ষোভ উজাড় করেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, “আমি মেয়েকে হারিয়েছি। কেন আমাকে বলতে দেওয়া হবে না? তদন্তের সময় কী বলতে হবে তা আমার স্বামীকে শিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আমার মেয়ে সেমিনার রুমে থাকত না। কোথায় ছিল? আমরা সেই উত্তরই চেয়েছি। এটা কি খুব বেশি চাওয়া?”
একথা বলতে বলতেই তিনি তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজার দিকে আঙুল তুলে ‘নির্লজ্জ’ বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে বিচারক বাবা-মাকে শান্ত হতে বলেন এবং আদালত থেকে সাময়িক বাইরে যেতে অনুরোধ করেন। কিছুক্ষণ পরই আদালতের বাইরে এসে কান্না সামলাতে পারেননি CBI অফিসার সীমা পাহুজা।

আরও পড়ুনঃ SIR আবহেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু, জেলাশাসকদের তলব করল কমিশন, চলতি মাসেই বৈঠক
উল্লেখ্য, এদিন আদালত আর জি কর মামলার (RG Kar Case) কেস ডায়েরি তলব করেছেন সিবিআই-এর থেকে। শুক্রবার সপ্তম স্ট্যাটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখতেই এই নির্দেশ দেয় আদালত। ১৭ জানুয়ারি কেস ডায়েরি আবার জমা দিতে হবে সিবিআই-কে।












