বাংলা হান্ট ডেস্ক : পেশোয়ারের (Peshwa) মসজিদে ভয়ংকর আত্মঘাতী হামলার রেশ কাটেনি এখনও। এরই মধ্যে আরও একবার পাকিস্তানের (Pakistan) একটি থানায় হামলা চালালো জঙ্গিরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল গুলির লড়াই। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের পুলিসের প্রত্যাঘাতে পিছু হটতে বাধ্য হয় জঙ্গিরা। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে পঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁওয়ালি জেলার একটি থানায়। জানা যাচ্ছে, পাক পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইতে আহত হয় একাধিক জঙ্গি। পঞ্জাব পুলিসের ইন্সপেক্টর জেনারেল (IG) ওসমান আনওয়ার জানান, থানা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলার খবর আসতেই সেখানে পাঠানো হয় বিশাল বাহিনী। জঙ্গিদের হদিশ পেতে ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পাক রেঞ্জার্স।
পাকিস্তানের পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎ থানা ঘিরে ফেলে ২৫-৩০ জন জঙ্গির একটি দল। থানা লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে তারা। পালটা গুলি চালায় থানার পুলিস কর্মী ও আধিকারিকরা। পঞ্জাব পুলিসের IG ওসমান আনওয়ার জানান, ‘ওই সময় থানা রক্ষা করতে দরজা আগলে দাঁড়ান পুলিস কর্মী ও আধিকারিকরা। থানার মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় পজিশন নিয়ে নেন তাঁরা। পাশাপাশি পুলিস ব্যারাকেগুলিতে খবর দেওয়া হয়।’ তবে অতিরিক্ত পুলিশের বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই দীর্ঘ সময় ধরে গুলির লড়াই চলে বলে জানা যাচ্ছে।
পাক প্রশাসন মনে করেন শুধু থানা দখল বা সেখানকার পুলিস আধিকারিক ও কর্মীদের খুন করাই নয়, জঙ্গিদের আসল টার্গেট ছিল হাতিয়ার লুঠ করা। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে থানায় হামলা চালানো হয় বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে পাক গোয়েন্দাদের দাবি, এবারও হামলা চালিয়েছে তেহেরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (Tehereek-e Taliban Pakistan) বা TTP।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রার্থনার সময় মসজিদে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায় এক জঙ্গি। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১০০-র বেশি মানুষের। গুরুতর আহত আরও ৪০-৫০ জন। সেই হামলার দায় স্বীকার করে টিটিপি। পেশোয়ারের যে মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছিল মঙ্গলবার তার থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরের থানায় হামলা চালায় জঙ্গিরা।