বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেজায় বিপাকে জেহাদিরা। কাশ্মীরে (Kashmir) জেহাদ চালাতে গেলে দরকার টাকা আর অস্ত্র। কিন্তু পাকিস্তানের (Pakistan) গুপ্ত সংস্থা আইএসআই (ISI) না দিচ্ছে টাকা, না দিচ্ছে অস্ত্র। এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। এমনিতেই বেহাল দশা পাকিস্তানের। অর্থনৈতিক সংকটের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে শহবাজ শরিফের দেশ। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে জেহাদ ঘটাতে যে টাকার জোগানের দরকার তা দিতে পারছে না আইএসআই।
শীত কাটলেই ভূস্বর্গে পুরোদমে শুরু হবে পর্যটকদের মরসুম। সেই সময়ই ঘটানো হবে একের পর এক জঙ্গি হামলা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। তার জন্য প্রস্তুতি দরকাট এখন থেকেই। আর সেই উদ্দেশ্যেই দরকার টাকা এবং অস্ত্র। জানা যাচ্ছে, ইউনাইটেড জেহাদ কাউন্সিল কাশ্মীরে সন্ত্রাস এবং ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য টাকা ও অস্ত্রের দাবি করেছে আইএসআই-র কাছে।
বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, জানুয়ারি মাসের আগেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদে ইউনাইডেট জেহাদ কাউন্সিলেট একটি মিটিং হয়। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করে সৈয়দ সালাউদ্দিন। জানা যায় এই বৈঠকে অংশ নেয় লস্কর – ই – তৈবা, জৈশ – ই – মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদীনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। এই বৈঠকেই আইএসআই-র কাছে টাকা এবং অস্ত্রের দাবি জানায় সংগঠনগুলি।
সম্প্রতি, জম্মু ও কাশ্মীরের দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকেও সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিগত কয়েক দিনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব ঘোষণা আসে। জম্মু ও কাশ্মীরে নিষিদ্ধ হওয়া দুটি সংগঠন হলো দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) ও পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট। টিআরএফকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংগঠনটি পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার স্থানীয় শাখা।