বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। এসএসসি (SSC) থেকে প্রাথমিক টেট (Primary Tet) এবং অন্যান্য দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রী থেকে শিক্ষা আধিকারিকরা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় জেরবার শাসকদল। দিনের পর দিন আন্দোলন করে চলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা আর এর মাঝেই গতকাল মানিক ভট্টাচার্যের স্থানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে নিয়ে আসা হয় গৌতম পালকে (Gautam Pal) আর দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সকল চাকরিরপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে সুখবর শোনালেন তিনি।
উল্লেখ্য, অতীতে শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তবে দুর্নীতির অভিযোগে গত জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে গতকাল সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয় গৌতম পালকে আর তার ২৪ ঘন্টার পার হতে না হতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, “এবার থেকে প্রতি বছর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘জিরো গ্রিভান্স’ নীতি হবে আমাদের। কোনরকম অস্বচ্ছতা রাখা হবে না।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিয়োগের স্বচ্ছতা থাকার বিষয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন আর এদিন শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির এহেন বক্তব্য যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। গৌতম বাবু আরো জানান, “চাকরিপ্রার্থীদের মনে কোনরকম প্রশ্ন যদি থাকে, তাহলে তা দূর করা হবে। প্রয়োজনে তাদের সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে কোনরকম অস্বচ্ছতা না থাকে, সে বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।” তবে দুর্নীতি প্রসঙ্গে এদিন কোনরকম মন্তব্য করেননি তিনি। পরবর্তী সময়ে শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির এহেন বক্তব্য অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, আপাতত সেদিকে তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, গতকাল মানিক ভট্টাচার্যের স্থানে শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় গৌতম পালকে। একই সঙ্গে একটি কমিটিও গঠন করা হয় রাজ্যের তরফ থেকে। আর এদিন গৌতমবাবুর বক্তব্য চাকরিপ্রার্থীদের মনে কিছুটা হলেও আশার আলো জাগালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।